Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • এপ্রিল ১৮, ২০২৪

উন্নয়শীল, দরিদ্র দেশের শিশু খাদ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন। নেসলের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উন্নয়শীল, দরিদ্র দেশের শিশু খাদ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন। নেসলের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ

উন্নত ও দরিদ্র দেশগুলির জন্য দুরকম নীতি বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য পণ্য সংস্থা নেসলের। দরিদ্র দেশগুলিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করে শিশুদের খাবারে বেশি পরিমান চিনি ও মধু মেশাচ্ছে।  অন্যদিকে, একই পণ্য চিনি ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ব্রিটেন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য উন্নত দেশে। পাবলিক আই–এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি নেসলে, বেশ কয়েকটি দেশে শিশুর দুধ এবং সিরিয়াল পণ্যগুলিতে চিনি এবং মধু যোগ করে, যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক নির্দেশিকাগুলির লঙ্ঘন করেছে। শুধুমাত্র এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে শিশুদের খাবারে চিনি ও মধুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অথচ এই জাতীয় পণ্যগুলি ব্রিটেন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলিতে চিনিমুক্ত।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে বিক্রি হওয়া নেসলের শিশুদের পণ্যের প্রতিটি পরিবেশনে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি পাওয়া গেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে প্যাকেটে এই পরিমাণ চিনি সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলিতে নেসলের চিনির ব্যবহার প্রকাশ্যে আসে, যখন সুইস অনুসন্ধানী সংস্থা পাবলিক আই এবং আইবিএফএএন (ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক) এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকায় বিক্রি হওয়া কোম্পানির শিশুর খাবারগুলি যখন বেলজিয়ামের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।

পাবলিক আই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনে নেসলের বিক্রি করা ছয় মাস বয়সী শিশুদের সেরেলাক গমভিত্তিক সিরিয়ালে কোনও যোগ করা চিনি পাওয়া যায়নি, যেখানে ইথিওপিয়াতে একই পণ্যে ৫ গ্রাম পরিমাণে চিনি রয়েছে এবং থাইল্যান্ডে ৬ গ্রামের বেশি চিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী নাইজেল রোলিন্স তদন্তের ফলাফলের পরে পাবলিক আই এবং আইবিএফএএনকে বলেছেন, ‘‌নেসলের পক্ষ থেকে এইরকম দ্বৈত মান ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।’‌

ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে যে, শিশুদের তাড়াতাড়ি চিনির সংস্পর্শে আসা চিনিভিত্তিক পণ্যগুলির প্রতি আজীবন আকর্ষণের দিকে ঠেলে দেয়, যা স্থূলতা এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০২২ সালে ডব্লিউএইচও শিশুদের জন্য খাদ্য পণ্যে চিনি যুক্ত করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিল এবং শিল্পগুলিকে তাদের পণ্যগুলিকে সংস্কার করতে বলেছিল।

পাবলিক আই–এর প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় নেসলে ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যেমকে বলেছেন, ‘‌গত ৫ বছরে নেসলে ইন্ডিয়া শিশু খাদ্য পোর্টফোলিওতে যোগ করা চিনির পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। আমরা নিয়মিতভাবে আমাদের পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করি এবং গুণমান, নিরাপত্তা এবং স্বাদের সাথে আপস না করে অতিরিক্ত চিনির মাত্রা কমাতে আমাদের পণ্যের উন্নতি অব্যাহত রাখি।’‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!