Advertisement
  • ন | গ | র | কা | হ | ন
  • আগস্ট ২, ২০২৩

হিংসার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আমদানি খট্টর প্রশাসনের।পালটা প্রতিক্রিয়ায় হরিয়ানা সরকারকেই দোষারোপ বিরোধীদের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
হিংসার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আমদানি খট্টর প্রশাসনের।পালটা প্রতিক্রিয়ায় হরিয়ানা সরকারকেই দোষারোপ বিরোধীদের

হরিয়ানার হিংসার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের। তাঁদের দাবি, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর মনে হচ্ছে পরিকল্পনা করেই সোমবার ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১১৬ জনকে অশান্তির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দুই হোমগার্ড সহ ছয় জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা একাধিক। তাঁরা গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাময়িকভাবে নুহ, ফরিদাবাদ, পালয়াল এবং গুরুগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও বড়ো কোনো অশান্তির সম্ভাবনা আর না থাকায় বুধবার থেকে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এসিপি (অপরাধ দমন) বরুণ দাহিয়া বলেছেন, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। যানচলাচলেও আর কোনো বাধা নিষেধ নেই। সাধারণ নাগরিকদের কাছে তাঁর আবেদন তাঁরা যেন কোনো মতেই গুজবে কান না দেন। এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানার জন্য একটি হেল্পলাইন নাম্বার ১১২ চালু করেছে প্রশাসন। নতুন করে যাতে কোনো অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য  জায়গায় জায়গায় মার্চ করছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।  এছাড়াও রাজধানী নিরাপত্তার কথা বিচার করে সেখানেও বাড়ানো হয়েছে  নিরাপত্তা।

বুধবার দিল্লি-এনসিআর এ  বজরং দল ও  বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মকর্তারা মিছিলের ডাক দিলে  তাঁদের সে কর্মসূচি বিরত করে পুলিশ । প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। যা শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে।তবে এই দুই  সংগঠন যাতে এই মুহুর্তে কোনো শোভাযাত্রার যাতে আয়োজন না করতে পারে তাঁর জন্য সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।যার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, প্রশাসনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্যে এই প্রতিবাদ মিছিলের  আয়োজন করতে হবে। এধরনের কর্মকাণ্ডের নামে যাতে কোনোমতেই কোনো হিংসা বা  ঘৃণাপূর্ণ ভাষণ না দেওয়া হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে  গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহে রাখতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার জানিয়েছেন, যে বা যারা ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি সম্প্রীতি এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ধরপাকড়ের প্রক্রিয়া । পুলিশ প্রশাসনও জানিয়েছে, সেদিন পরিকল্পিত ভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে ভিওয়ানি কাণ্ডে ফেরার আসামী মনু মানেসর মিছিলে রয়েছে। যা নিয়েই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। এ ঘটনায় অনেককে গ্রেফতার করা হলেও, হিংসার নেপথ্যে মদত যুগিয়েছিল কে বা কারা তার সন্ধান এখনো পাননি তদন্তকারীরা। সেই প্রচেষ্টাই এখন চলছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারের হিংসার ঘটনা সম্পর্কে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে আগে থেকেই নাকি খবর ছিল। যা সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। নুহ এলাকার সিআইডির জেলা ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ বলেছেন, আমাদের দফতর আগেই এই অশান্তির সম্ভাবনা টের পেয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। পূর্ব ঘোষিত শোভাযাত্রাকে ঘিরে গোলমালের আশঙ্কা করে ১৩০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মোতায়েনের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। ১০ দিন আগে থেকে এই নিয়ে সমস্ত তথ্য দিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছিল। মনু মানেসর ওরফে মোহিত যাদব সম্পর্কে বলেন তিনি বলেন, ফেরার আসামীকে নিয়ে কেউ একজন আচমকাই গুজব রটিয়ে দিয়েছিল। ছড়িয়ে গিয়েছিল, তিনিও এই যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। তাতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রার রুট বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। বরিষ্ঠ আধিকারিকরা ভেবেছিলেন, সাধারণ ভিড় হবে। তাই সামলাতে বিশেষ কোনো ঝক্কি বিশেষ পোহাতে হবে ন। তাঁদের ধারণা ছিল, এলাকাবাসীকে বোঝালেই তাঁরা বুঝে যাবেন মনু মানেসর মিছিলে নেই। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরা অবশ্য এমন আগাম তথ্য পাওয়ার খবরকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন।

বিরোধীরা অবশ্য  সিআইডি কর্মকর্তার বক্তব্যর ভিত্তিতে খাট্টার প্রশাসনকে নিশানা করেছেন।  তাঁদের মতে,  অশান্তির পরিবেশকে  ইচ্ছে করেই জিইয়ে রাখা হয়েছে।  তাঁদের কোনো সদিচ্ছা নেই এসমস্যা সমাধানের। তাঁদের প্রশ্ন, যদি আগাম খবর থেকে থাকে তাহলে কেন আগে থেকে  প্রস্তুতি  নিল না প্রশাসন? পরিস্থিতি যা তাতে এটা স্পষ্ট, মণিপুরের পর শাসক-বিরোধী তরজার কেন্দ্রে এখন হরিয়ানা। যা থেকে মুক্তির পথ আপাতত মেলা কঠিন ।


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!