Advertisement
  • দে । শ ভা | ই | রা | ল
  • জুলাই ৩, ২০২৩

শাসক দলের বিরুদ্ধে টলিউডের চ্যাপলিন-এর নতুন প্যারডি, বদলে গেল পরিচিত ছড়া

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শাসক দলের বিরুদ্ধে টলিউডের চ্যাপলিন-এর নতুন প্যারডি, বদলে গেল পরিচিত ছড়া

সামজিক হোক বা রাজনৈতিক— বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুকে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। আর ভোটের মরসুমে তাঁর কণ্ঠ রুদ্ধ থাকবে এমন সচরাচর হওয়ার নয়। তাই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে নতুন প্যারডি নিয়ে হাজির হলেন বিজেপির নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ছেলেবেলায় ছড়ার বইয়ে পড়া ‘বৃষ্টি পড়ে, টাপুর টুপুর’-কে সমসাময়িক বাংলার রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন টলিউডের চ্যাপলিন।

সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের গাড়াপোতা গ্রাম বিজেপির পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন দলের তারকা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।  শাসক দলের বিরুদ্ধে সরাসরি চুরির অভিযোগ এনে নিজের অননুকরণীয় ভঙ্গিতে বললেন- ‘টাপুর, টুপুর বৃষ্টি পড়ে মনে এল টান, চোর টিএমসিকে তাড়িয়ে দিতে সবার মন আনচান।’ তাঁর ব্যাখ্যা, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কাজের জন্য পঞ্চায়েতে প্রচুর টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার সবটাই উধাও হয়ে যাচ্ছে । সাধারণ মানুষ তাঁর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ঘাসফুল শিবিরের সমর্থকরাও ন্যায্য সুবিধা পাচ্ছেন না। তাই তাঁর দাবি, সবাই চান এখন আসন্ন ভোটে তৃণমূলকে জব্দ করতে । তাঁর এ মন্তব্যের জবাব এখনও শাসক দলের পক্ষ থেকে অবশ্য আসেনি।

প্রচলিত গান, কবিতা বা ছড়ার প্যারডি বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই প্রথম নয়। রুদ্রনীল ইতিপূর্বে বহু বিষয় নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক লেখা লিখেছেন, সুরও দিয়েছেন তাতে। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা। উলটো দিকে শাসক দলের পক্ষ থেকেও তাঁর পালটা প্যারডি রচিত হয়েছে। আসলে প্যারডি বা ব্যাঙ্গাত্মক ছড়ার সংস্কৃতি আজকের নয়, বহু প্রাচীন। উনবিংশ শতকে টপ্পা খেউরেই রয়েছে এর শিকড় । সে সময় থেকে আজকের রাজনৈতিক শ্লোগান – তাতে প্রতিটা ক্ষেত্রেই দেখা যাবে, বিপক্ষকে দুরমুশ করতে ছড়ার ছন্দোবদ্ধ প্রয়োগ।

দু বছর আগেই সিপিএমের পক্ষ থেকে আনা হয়েছিল জনপ্রিয় ‘টুম্পা সোনা’ গানের প্যারডি। পঞ্চায়েত উপলক্ষেও তারা কোনো প্রচারে কসুর রাখেনি । এবারেও ভূমি ব্যাণ্ডের ‘বারান্দায় রোদ্দুর’- নামের জনপ্রিয় গানটিকে প্যারডি। ডান হোক বা বাম কেউই পিছিয়ে নেই প্যারডির প্রতিযোগিতায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও ২০২১ ভোটের প্রাক্কালে আনা   হল, ‘খেলা হবে’ নামের এক চড়া মাত্রার গান । যা প্রকৃতপক্ষে  আসলে বাংলাদেশের এক নেতার দেওয়া শ্লোগান। আসলে,  প্যারডির মধ্যে দু চার লাইনে বিশাল সংখ্যাক জনতাকে কোনো গুরুতর বিষয়ের সঙ্গে সংযযুক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। যা গুরুগম্ভীর বক্তৃতায় সম্ভব নয়। তাই হাল্কা চালের প্যারডি ভোটের ময়দানে বাজিমাত করেছে বার বার।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!