Advertisement
  • এই মুহূর্তে ন | গ | র | কা | হ | ন
  • আগস্ট ৪, ২০২৩

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হঠাৎ শূন্যতা, প্রয়াত পান্না কায়সার। গভীর শোক বিশিষ্টজনের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হঠাৎ শূন্যতা, প্রয়াত পান্না কায়সার। গভীর শোক বিশিষ্টজনের

শহিদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী আর সুপরিচিত সমাজকর্মী পান্না কায়সার আর নেই। শুক্রবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রয়াত পান্না কায়সার ছিলেনে একজন অসাধারণ বিদুষী মহিলা। সমাজের নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আমৃত্যু। ঢাকার বিভিন্ন স্তরের সংস্কৃতি কর্মীরা তাঁকে একজন লড়াকু মহিলা হিসেবে স্মরণ করেছেন। অনগ্রসর নারী ও দরিদ্র শ্রেণির পাশে সবসময় তাঁকে থাকতে দেখা যেত। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরোধী কণ্ঠস্বর বলে  উপমহাদেশে সুপরিচিত তাঁর ব্যক্তিত্ব। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচির সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর দুই সন্তান, অভিনেতা শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারের মধ্যে শৈশবে পুঁতে  দিয়েছিলেন সামাজিক দায়বদ্ধতার বীজমন্ত্র।

১৯৫০ সালে পান্না কায়সারের জন্ম। কলেজে পড়ার সময়ে ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু ওই বিয়ে সুখের হয়নি। দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে আবার পড়াশোনা শুরু করে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।  বাংলা নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।  তখনই বাংলা সাহিত্যের অন্যতম  বড়ো লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তাঁর পরিচয়।  বাংলাদেশ তখন সামরিক শাসন বিরোধী বিদ্রোহে জ্বলে উঠছে, ১৯৬৯-এ শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।  মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে সুখের দাম্পত্যের অবসান ঘটে।  ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানপন্থী আলবদর বাহিনীর ঘাতকেরা শহীদুল্লা কায়সারকে বাড়ি থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে চিরদিনের জন্য নিখোঁজ করে দেয়। স্বামীর মৃত্যুর পর অন্যমাত্রায় লড়াই শুরু হয় পান্না কায়সারের। একদিকে  নতুন দেশে সাংস্কৃতিক গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব, অন্যদিকে নিজের সংস্কৃতি কর্ম, লেখালেখি আর ছেলেমেয়েদের দুই সন্তানকে মানুষ করার সুদৃঢ় সংকল্প। পান্না জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছেন  কিন্তু কখনো হার মানেননি। জয়ধ্বজা হাতে নিয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। ওই ধ্বজা রক্ষার আহ্বানকে সঙ্গে নিয়েই কেটে গেল তাঁর ইহজাগতিকতা।  বাংলাদেশ তাঁকে যথাসাধ্য সম্মান জ্ঞাপন করেছে। ২০২১ সালে তাঁকে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সাংসদের দায়িত্ব পালন করেছেন।  জীবনভর শিশু সংগঠন খেলাঘর-এর সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তাঁকে স্মরণ করে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন  রামেন্দু মজুমদার, আন্তর্জাতিক খ্যাতির তথ্যচিত্র নির্মাতা  ও মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা শাহরিয়র কবীর, বাংলাদেশের প্রাক্তন  সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বহু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ এই মুহুর্তে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ভেতর দিয়ে ছুটছে, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের জাতীয় ভাবাবেগকে জাগিয়ে রাখতে সংকল্পবদ্ধ সমাজের সব অংশ।  এরকম ঘূর্ণায়মান পরিস্থিতিতে পান্না কায়সারের মৃত্যুতে হঠাৎ শূন্যতাবোধ করছে বিবেক। বুদ্ধিদীপ্ত তারুণ্য আচমকা নিজেদের অভিভাবকহীন মনে করছে।

 

 


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!