- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
“বাংলায় হলে জালিয়াতির অভিযোগ, এখন রা নেই কেন ?” গুজরাটে সেতু ভাঙা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের

গুজরাটে আবার সেতু বিপর্যয়। মোরবি সেতু বিপর্যয়ের স্মৃতি মানুষের মন থেকে মুছতে না মুছতেই ফের গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল। রবিবার সুরেন্দ্রনগরের ভাস্তাডি এলাকায় ভোগাভো নদীর উপরের একটি সেতু আচমকাই মাঝখান থেকে ভেঙে যায়। নদীতে তলিয়ে যান অন্তত ১০ জন মানুষ। পরে চারজনকে উদ্ধার করা হলেও বাকিরা নিখোঁজ। এই দুর্ঘটনা নিয়ে সোমবার গুজরাটের “ডবল ইঞ্জিন” সরকারের কাছে কার্যত জবাবদিহি চাইল তৃণমূল। এবার এই দুর্ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রশ্ন ইউল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষ জানতে চাইলেন, এই দুর্ঘটনা কেন ঘটল? কারা দায়ী? এসব নিয়ে এখন মুখে ‘রা’ নেই কেন?
ভাস্তাডি এলাকায় ভোগাভো নদীর উপর নির্মিত ওই সেতুটি প্রায় ৪০ বছরের পুরনো। রবিবার সেতুর উপর দিয়ে যখন একটি ডাম্পার ও দুটি বাইক যাচ্ছিল, সেই সময়ে আচমকা মাঝখান থেকে সেতুটি ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে নদীতে তলিয়ে যান অন্তত ১০ জন। নদীতে পড়ে যায় ডাম্পার ও বাইকগুলো। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের উদ্যোগেই ৪ জনকে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে খোঁজ মেলেনি তলিয়ে যাওয়া আরও ৬ জনের। তল্লাশি চললেও স্থানীয়দের আশঙ্কা, ওই ৬ জনকে হয়তো জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
এই দুর্ঘটনার পর সোমবার তৃণমূলের তরফে একযোগে সোশাল মিডিয়া ও সাংবাদিকদের সামনে সরব হন নেতা-মন্ত্রীরা। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”সুরেন্দ্রনগরের ভাস্তাডি এলাকায় একটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। মানুষজন তলিয়ে গিয়েছেন। তো বারবার গুজরাটেই এমন দুর্ঘটনা কেন হচ্ছে? এ বিষয়টি প্রচারে নেই। কেউ কিছু বলছেন না। সেখানে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার। তবু মানুষের জীবন বিপন্ন করার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। কেন?” চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ”বাংলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে বলা হতো, জালিয়াতি হয়েছে। কিন্তু এখন কেন মুখে রা নেই কেন?”
❤ Support Us