Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • এপ্রিল ৬, ২০২৩

দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ও হনুমান জয়ন্তীতে দলীয় সমর্থকদের নরেনের শুভেচ্ছা। বিজেপি দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের বিরোধী, কংগ্রেসের সমালোচনায় মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ও হনুমান জয়ন্তীতে দলীয় সমর্থকদের নরেনের শুভেচ্ছা। বিজেপি দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের বিরোধী, কংগ্রেসের সমালোচনায় মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর

বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে অনেক কথাই বললেন। হনুমান জয়ন্তীর গুরুত্ব তুলে ধরলেন রাজনীতির মিশেলে। এদিন মোদি বলেছেন, দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে হনুমান জয়ন্তী। হনুমান যেভাবে রাক্ষসদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, বিজেপিও সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি ও রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতায়। কারণ বিজেপি এমন এক রাজনৈতিক দল, যা দেশের স্বার্থকেই সবার ওপরে রাখে।

এদিন মোদি বিরোধীদের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন। মোদি বলেছেন, অতীতে এদেশের রাজনীতিকরা রাজনৈতিক দল করে শুধুমাত্র নিজেদের পরিবারের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। বিজেপি তা করেনি। কারণ বিজেপি বৈষম্যে বিশ্বাসী নয়। একথা বলে মোদি দাবি করেছেন, ভারতে নতুন ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্মদাতা বিজেপি।

এদিন কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নাম তোলেননি মোদি। মোদি বলেছেন, কংগ্রেসের সংস্কৃতি হল পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি। বিজেপির স্বপ্ন ও উদ্দেশ্যে এধরনের সঙ্কীর্ণতার কোনও জায়গা নেই। ২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে কয়েক শতাব্দীর ধরে দাসানুদাস হিসেবে থাকা ভারতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ছাড়লেও ওঁরা ভারতে ফেলে রেখে গিয়েছে ক্রীতদাসত্ব করার মানসিকতা। এই মানসিকতার শিকার একাংশ। এঁরা মানসিকতায় বাদশাহী। দেশের মানুষকে ওঁরা গোলাম মনে করেন।

মোদি বলেছেন, বাদশাহী মানসিকতা সম্পন্ন মানুষজনেরা ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র আইডিয়া সম্পর্কে বিদ্রূপ করেছিলেন। বিজেপি কীভাবে সফল হল, এটাই ওঁরা বুঝতে পারছেন না। কারণ বিজেপি যে সাফল্য অর্জন করেছে, ওঁরা বছরের পর বছর পেরোলেও তা অর্জন করতে পারেননি। এই ব্যর্থতার কারণেই ওঁরা এখন মিথ্যা ছড়াচ্ছে। মোদির কবর খুঁড়তে চাইছে মরিয়াভাবে। তবে ভারতের দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষ, দলিত, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষই পদ্মকে রক্ষা করছে।

মোদির কথায়, বিজেপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যা কেবল নির্বাচনে জেতার ভিতরেই সীমাবদ্ধ নয়। বিজেপি জয় করতে চায় দেশের মানুষের হৃদয়।

এদিন মোদি জানিয়েছেন, বিজেপি দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী করতে চলেছে। মূলত যুব সম্প্রদায়কে কাছে টানতে এই উদ্যোগ। ফেসবুক, ইউটিইউব, ইনস্ট্রাগ্রামে দলীয় প্রচার চালাবে বিজেপি।

এদিন ছিল বিজেপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস। আবার এদিনই দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হনুমানজয়ন্তী। মোদি হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র এই দিনটিকে রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলেন। মোদি বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরবর্তী ২৫ বছরের জন্যে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি করা উচিত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!