Advertisement
  • ক | বি | তা
  • জুন ২৭, ২০২০

গুচ্ছ কবিতা

প্রজ্ঞা অন্বেষা
গুচ্ছ কবিতা

চিত্র: সুশান্ত চক্রবর্তী

বাইনারি

চায়ের পাতায় মেশাও তরল বিষ
চোখের পাতার মন্ত্রেতে বিষ-ক্ষয়
এক হাতে রাখো নির্মাণ ঘর-দোর
অন্য হাতের মুঠোয় বিপর্যয় ।
এক কাঁধে রাখো দায়-দায়িত্ববোধ
অন্য কাঁধটা থাক তবে নির্মোহ
যা কিছু তোমার স্থবিরতা-পিছুটান
তাকে নাম দিয়ো ভেঙ্গে ফেলা,বিদ্রোহ।

 

যা কিছু অদৃশ্য

যতটুকু দেখেছ তুমি তার

তারও বেশি আসলে অদেখা
যাকে তুমি সহিষ্ণুতা বলো

আসলে তা ঠেকে ঠেকে শেখা।
যাকে তুমি বলো অভিজ্ঞতা
তাকে আমি ক্লান্তি নামে ডাকি

যা জেনেছ সেটুকু আশ্রয়
বাকিটা মিথ্যে-ভুয়ো-ফাঁকি।

 

নাবিককে, যাযাবর

যা কিছু তোমার নাবিকের মত থিতু
আমার যা কিছু যাযাবর, পিছুটান
তুমিও ভাসাও আগুনের স্রোতে কিছু
আমিও পোড়াই নদী-স্রোতে কিছুটাই।
ছুঁতে চাও যদি ছোঁয়াচ বাঁচানো পথে
চলে যেতে পারি, চলে না যাওয়ার
মতো
ভালোবেসে চলো ঘেন্নার পাঠ শিখি
বয়ে চলি চলো দায়হীন দায় যত।

 

আইসোলেশন

ছোঁয়া আর হয়না তোমাকে
ছোঁয়াচে অসুখ বলে নয়
তার চেয়েও বড় কোনো ছুঁতে না
পারা
আগলে দাঁড়ায় পথ।
হাতে হাত রাখি, শরীরে শরীর–
তবু–
বেঁধে দেওয়া দূরত্বের নিরাপত্তায়
দাঁড়িয়ে থাকি…
ছোঁয়াচে অসুখ বলে নয়-
তারচেয়েও বড় কোনো ছুঁতে না
পারা
ছুঁয়েছে আমাকে।

 

সুজান

(লিয়োনার্ড  কোহেন -এর ‘Suzanne’ গানটি মনে রেখে) 

ডাকতো বুঝি মেয়েটি রোজ কাছে?

নদীর ধারে বাড়িটি তার কাঁচের।

নৌকো বাওয়ার শব্দ শোনার আগে
নদীর মতোই বুঝতে হবে তাকে।
মেয়েটির নাম ‘পাগলী’ বলেই খ্যাত
তাই বুঝি ও তোমার মনের মতো।
বলছে কারা নাবিক জন্ম পাপের
উঠছে ধোঁয়া রাত্রি নামে কাপে।
যখন তুমি বলতে গেছ ওকে
বাড়াচ্ছে পা মিথ্যে আলোর ঝোঁকে
দু’হাত ধরে বললো তোমায় “শোন”

“নাবিক মানেই আমার প্রেমিক-জন”নদীর জলে ধরতে পারে চির?
মন দিয়ে তোর শরীর ছুঁয়েছি।


❤ Support Us
error: Content is protected !!