- ক | বি | তা
- এপ্রিল ১০, ২০২২
বাঘ খুঁজে বেড়াচ্ছে তোমার কৃষ্ণের বাঁশি

আসামের ঝাটিংগা থেকে হাফলং
যেন পাথরের নিচে বরফের নদী।
ঝাটিংগা জায়গাটার একটা চৌম্বকধর্ম আছে।
তিন পটই চতুষ্কোণ, তিন পাহাড়ের এক পাদদেশ।
ইতিহাসে এর নাম পাখি-মরা।
জীবন-মৃত্যুর এক রূপালি উপত্যকা। পাখিদের বধ্যভূমি।
বছরের সে এক গভীরতম পূণিমার
রাতে পৃথিবীর পাখিরা এখানে মরতে আসে।
ভোরের নরম আলোয় মানুষেরা পাখিদের মৃত্যু দেখে।
মৃত মেয়ে পাখিদের মাংস সংগ্রহ করে বস্তির শিশুরা আগুনে পুড়ে খায়।
তাদের প্রতিবেশী লোকজন এতে মজা পায়।
কিন্তু তারাও জানে না ভূ-ভারতের পাখিরা কেন এখানেই মরতে আসে ?
না বিজ্ঞানী না ইতিহাসকার না দরবেশ কেউ জানে না।
ধরা পড়ার আগে
ছায়া সঙ্গীর হাত ধরে সেই ড়্গণে কবিও পালিয়ে এসেছে।
সেই স্মৃতি এখনও নির্বেদ।
এমন অনেক ছবি ও কথার ঠাঁই হয়নি তার আপন নির্জনতায়।
পূর্বসূরীদের
লেখায় আজীবন মুগ্ধ কবির আটপৌরে জীবনের কথা
কিংবা হঠাৎ খেয়ালের বশে
সংসারের অজরম্নরি ও অমূল্য যাবতীয় সংগ্রহ
এক সময় জলের মায়ায় জলে ভাসায়।
প্রণয়ের টানে জলে নেমে গিয়ে দেখে,
নদীতে এতো জল ? জলের এতো জ্বর !
তার চেয়ে অরণ্য অনেক ভাল।
মায়াময়ী মেঘালয়ের পথে হাঁটতে হাঁটতে
যে ডাকাবোকা পাহাড়ি তরম্নণী চোখ টিপেছিল
তাকে পাওয়া যাবে ফের ।
রাতে কোন ঝর্ণাতলা কিংবা মন্দিরের আঙিনায় শুয়ে
শোনা যাবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কিংবা রবীন্দ্রনাথের বাঁশি।
❤ Support Us