Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ১৬, ২০২২

নতুন ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে ইউক্রেনের রাজধানীতে: মাতিউস মোরাভিয়েস্কি। ট্রেনে চড়ে কিয়েভে পৌঁছেছেন পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা।

পুতিন বাহিনী আরও উদ্ধত । ঘন ঘন বোমাবর্ষণে যুদ্ধের বিশতম দিনে বলি আরও এক সাংবাদিক ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নতুন ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে ইউক্রেনের রাজধানীতে: মাতিউস মোরাভিয়েস্কি। ট্রেনে চড়ে কিয়েভে পৌঁছেছেন পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা।

ছবি: বাঁদিক থেকে ডানদিকে: স্লোভেনিয়া ও পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, পোল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী।

ইউক্রেনে রুশ হামলার কুড়িতম দিনে রাজধানী কিয়েভের অধিবাসীরা ৩৫ ঘণ্টার কারফিউতে আটকে ছিলেন। ইতিমধ্যে ট্রেনে চড়ে কিয়েভ গেছেন পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা। বিবিসি ইউরোপ এডিটরের রিপোর্ট অনুযায়ী তিন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে ইউক্রেনে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারণ পোলিশ সামরিক জেটের উড্ডয়ন রাশিয়ার কাছে বিপজ্জনক উস্কানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তবে তখনও এটা পরিষ্কার নয় যে কখন তাঁদের নিয়ে ট্রেন ওয়ারশতে ফেরত আসতে পারবে।

ইউক্রেনের মারিউপোলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের প্রবেশপথের ভিতরে গোলাগুলি থেকে বাঁচতে বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ।

 

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউস মোরাভিয়েস্কি জানিয়েছেন নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানীতে। মঙ্গলবার বিকেলে কারফিউ বলবৎ হবার পর কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিন প্রধানমন্ত্রী।পরে প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত ।

উল্লেখ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে আবার বলি ফক্স নিউজের চিত্র সাংবাদিক । ইতিপূর্বে নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছিল ইউক্রেনে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, এদিন কিয়েভের বাইরে কর্মরত ছিলেন ওই চিত্র সাংবাদিক। নাম পিয়েরে জাকার জেনওয়াস্কি। সঙ্গী ছিলেন সাংবাদিক বেঞ্জামিন হল। জানা গেছে, এদিন সকাল থেকেই কিয়েভে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছিল। সেই সময় গোলা আছড়ে পড়ে তাঁদের গাড়িতে। সেখানেই প্রাণ যায় ওই সাংবাদিকের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক হল। বিবৃতি জারি করে এ খবর জানিয়েছেন ফক্স নিউজ মিডিয়ার সিইও সুজানে স্কট।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ তারিখ ইউক্রেনে নিহত হন ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর সাংবাদিক। ইউক্রেনের সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স-ইউক্রেন’-এ প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদনে মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কিয়েভের ইরপিনে রুশ ফৌজের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ কর্মরত মার্কিন সাংবাদিক ব্রেন্ট রেনডের।

গত ২০ দিন ধরে ইউক্রেনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। প্রাণ গিয়েছে বহু নিরীহ নাগরিকের। এর মধ্যে ৯৭ জন শিশুও রয়েছে বলে কানাডার সংসদে জানিয়েছে ইউক্রেনেক প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। টানা ২০ দিন যুদ্ধ চালিয়েও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। কিয়েভ-সহ একাধিক শহরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে রুশ বাহিনী। সেই খতিয়ান তুলে ধরেছে ইউক্রেন-ই। আবার তাদের প্রত্যাঘাতে ধরাশায়ী হয়েছে রুশ সেনাও।

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!