- ক | বি | তা রোব-e-বর্ণ
- জুলাই ১৪, ২০২৪
কবিতা
চিত্রকর্ম: হেমেন মজুমদার
রোলনম্বর থার্টি থ্রি
তোকে আর ডাকব না । শরীর শরীর ভাষায় দেখব না তোকে । তুই লাষ্ট বেঞ্চের বিষাদ বালিকা । সুতপা’দি থার্টি থ্রি, রোল নম্বর খাটি থ্রি বললেই চমকে উঠতি তুই। ইয়েস প্লিজ কাঁপা কাঁপা স্বর । তোর দুই বেণী । তোর চোখের কাজল । তোকে আর ডাকব না । তোর ডাক নাম ভুলে গেছি ।
আমি পাগল নই, পাগলের মতো । ওই লোকটা পাগল যে লীলাবতীকে ভালোবাসে । লীলাবতীর ব্রতকথার ফুল তুলে দিত যে । দুর্বা তুলে দিতো যে । লীলাবতী একটি নীল শাড়ি পরা মেয়ের নাম । লীলাবতী কলেজের কাঁঠালিবট তলায় বসে খিলখিল করে হাসে। লীলাবতী একা সেন্ট্রাল রোড দিয়ে হাঁটে ।
আকাশের ছাদে ঝুলে আছে কড়িবরগা। ঝুলে আছে চোখ-নাক-মুখ । মৃত সব তারারা ঝুলে আছে । দীর্ঘশ্বাস রাত হয়ে চলাচল করে ।
এপারে ওপারে কিসের বাজনা বাজে ! লাউ বেটা সওদাগর বিয়া করিতে সাজে । আহা তোমরা কুম সাজাও গিয়া… লীলাবতী লীলাবতী তুই ভালোবাসিস কারে? লীলাবতী রোলনম্বর থার্টি থ্রি ।
ঈষৎ ছাই রঙের কামনা
সাপকে ভালোবাসি ব্যাঙকেও ভালোবাসি । লীলাবতীকে ভালোবাসি যেমন তেমনই ভালোবাসি আর কারে ? যে সব ভালোবাসাবাসি কেবলই কামনাকে ডাকে । ডাকে অথচ পায় না । খুঁজে মরে সব সুখ ও রহস্যের ভিতরে, সেই সব ভালোবাসাবাসি নরকের প্রজাপতি প্রায় ।
আমি সাপকে ভালোবাসি । ব্যাঙকেও । নরকে যাতায়াতের পথে দেখি কত মনীষি দাঁড়িয়ে আছে । ঝুলে আছে আলজিভ । গলগণ্ডের ভারে নুয়ে আছে । এরা সব একদিন কত কত সভা উজ্জ্বল করে বসেছিল । আলো হাতে । ফুল হাতে । যুবতী কোলে নিয়ে । আমি লীলাবতীকে ভালোবাসি । ভালোবাসি আর কারে ?
কড়িকাঠে ঝুলে আছে দুটি চোখ । যে । চোখ কামনা করেছিল লীলাবতীকে । কড়িকাঠে ঝুলে আছে একটি নাক । যে নাক ঘ্রাণ নিয়েছিল যুবতী স্তনের । যা লীলাবতীর স্তনের মতো । ‘সেই ঠোঁটও’ ঝুলে আছে কড়িকাঠে । যে ঠোঁট চুমু খেয়েছিল লীলার শীতে ফাঁটা শুকনো ঠোঁট । সেই নদীর কাছে যাই যে নদী হারিয়েছে তার ছেনালিপণা । এই শীতে । মরা গাছে উড়ে উড়ে আসে নরকের সেই প্রজাপতি ।
সাপকে ভালবাসি । ব্যাঙকেও ভালোবাসি । ভালোবাসাবাসি জড়িয়ে থাকুক শীতকাল । বসন্ত এলে ভালোবাসব লীলাবতীকে । তখন সব রঙ শুকিয়ে হয়ে যাবে পার্পেল রঙের । আমি লীলাবতীর শাদা ঠোঁট-নাক ভালোবাসি । ভালোবাসি ঈষৎ ছাই রঙের কামনা ।
♦•—•♦♦•—•♦♦•—•♦
কবি শিলচরের বাসিন্দা
❤ Support Us