- ক | বি | তা রোব-e-বর্ণ
- জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
গুচ্ছ কবিতা

অ নি র্ণে য়
এমন তো কথা নেই কিছু লিখতেই হবে
অবিরাম লিখে চলেছে মাথা নিজের ভিতরে;
আঙুলের শীর্ষ থেকে যে অক্ষরগুলো ঝরে পড়ে
সাদা পৃষ্ঠার ‘পর—কালো রঙে আলো ছড়ায় অগণন মনে
তারা নিশ্চুপ হয়ে ভাবে কোনো মন্তব্য করা কী সমীচীন হবে?
যে লিখেছে সে কে? আমার কী কিছু হয়?
আমার গোত্রে কী সে করে বিচরণ?
অনেক অস্বস্তি আনে তার বচন—কবি যদি আরো কিছু
নির্বিরোধ হওয়া ভালো, কঠিন কথার মার দেবার আছে
অনেকেই রাজনীতির মাঠে। আর সে নীতি পঁচেছে কতকাল আগে,
আরোগ্য তো কিছু নেই! অনেক তত্ত্ব-তালাশ করে যেই গেল
প্রয়োগের ঘরে, সকলেই গরল ভেল—এক-একটা ক্ষমতার ষাঁড়
হাম্বা রবে ডাকিতে থাকে অনির্ণেয় ব্যাধির বিকারে;
তার থেকে এই ভালো মানেহীন কাগুজে উল্লাসে
কেন হাসে কেন কাঁদে না জেনে নিরক্ত শব্দপ্রসবে
লিখিতেছে যারা অমরত্ব প্রাপ্তির সিধা সড়কে!
বি স্মৃ ত প্র দে শ
হাঁটতে থাকি, হাঁটতে থাকি, হাঁটতে থাকি অবরুদ্ধ পথে
অনেক হাঁটার পর ক্লান্ত পা—তখন বাতাস খোলে
অনেক প্রাচীন বাতাস, মিহি স্পর্শ তার
গাছগুলো মাথা নাড়ে, পথের ‘পর ওড়ে কয়েকটা শুকনো পাতা
কোথাও শান্তি ছিল বহুকাল আগে, কোনো বিস্মৃত প্রদেশে
তার আভাস বাতাসের গায়ে, অস্পষ্ট কিছু মনে পড়ে
অনেক প্রিয় মুখ চারপাশে জাগে, ফিসফিস ক’রে
কথা বলে কেউ আনন্দিত অনুরাগে, স্পষ্ট হয়না সেসব
রহস্যময়ী বাতাস এসে উড়িয়ে নিয়ে যায় তাকে …
জী ব না ন ন্দ
ধীরগতি ট্রামের চাকার নিচে পিষ্ট কবি
চিন্তার, বেদনার জগৎ কি আরো ধীরগামী?
রক্তে আচ্ছন্ন বিষক্রিয়ার মতো চৈতন্যবিলোপী বুঝি!
ট্রামের লাইনের ‘পর শুয়ে থাকা নক্ষত্রের দিকে—
বিস্মিত চোখ, হাতের মুঠোয় সবুজ ঘাসের স্পর্শ
বেদনায় কুঁকড়ে যেতে যেতে অনপনেয় উপলব্ধির ঘোর,
“এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর।”
❤ Support Us