শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
গোলাম রসুল
ভাববাদীরা নেমে আসছে চাঁদ থেকে
ধনুকের মতো চাঁদ
তির মুক্ত
জানে না কোন অভিঘাতে পৌঁছেছে
শিশুরা আকাশ টানাটানি করছে
শিশুরা প্রথম দেখছে
বৃদ্ধ হয়েছে
একশ বছর পরও দেখছে পরস্পর আকাশ
এর মধ্যে কতবার পড়ে গেছে চাঁদ
মৃত চাঁদ
উঠোন ভর্তি আগাছা
ওরা ওকে বলে সভ্যতা
খামে ভরা ছয়টি ঋতু
আর একটি বৃক্ষ
জনমানবহীন যে অংশটা বাদ হয়ে গেছে
তাকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে মরুভূমির ভাবাবেগ
অন্য একটি দিকে নদীর জলে কোনো সংগীত নেই
আর তারা কর্কশ খসিয়ে দেয় ভূমি
দিগন্তের গায় স্থাপত্য নিদর্শনে পাথরের সিংহ থাবা উঁচু করে নির্দেশ করে না কিছুই
কেবল সাদা করে দেয় রক্ত
জনমানবহীন একটি মহাদেশ
ভাববাদীরা নেমে আসছে চাঁদ থেকে
চিত্র: লক্ষ্মণ পাই
গৌতম হাজরা
সভ্যতা
আজ আর দাঁড়াবার জায়গাটাও নেই
নেই সেই ছাতিমতলার সমবেত গান
এখানে ঋতুচক্র কিংবা ভাঙা মেঘও নেই
দৃশ্যের ভেতরে দৃশ্য ভেঙে খানখান।
কুয়াশায় আচ্ছন্ন হই ছাতা অন্ধকারে
শিল্পের ধোঁয়া নেই, কৃষিক্ষেতেও হায়
নকল আলোয় দেখি বারুদের বীজ
ঘাসের শরীর জুড়ে পাখি উড়ে যায়।
দৃশ্যের ভেতরে এখন ছায়াহীন মাটি
খুঁটিপোতা ল্যাম্পপোস্ট একা ধ্বসে পড়ে
মিথ্যে হাসি মিথ্যে কথা সাজিয়েগুছিয়ে
সভ্যতা এভাবেই প্রত্যহ বাঁচে আর মরে !
চিত্র: ভুপেন খাখর
ফিরোজ চৌধুরী
একটা সময়ে
আমি চলে গেলে দেখো কিছুই হবে না
এই দীর্ঘ জীবন যাপন
এই দীর্ঘ রাত্রের ছায়াপাত
কিছু টুকরো কাগজ
গোপন নিঃশ্বাসের শব্দ
যেন কিছুই গুছিয়ে উঠতে পারিনি
আমি চলে গেলে দেখো কিছুই হবে না
একটা সময় তোমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম
কখনো জানালা দিয়ে
কখনো চিলেকোঠার ফোকর দিয়ে
তুমি জানতেও পারোনি
একটা সময়ে চরাচরে ছিল বিস্তৃর্ণ নীরবতা
যেন কেউ কোথাও নেই
আর ছিল অন্ধকার
আর সেই অন্ধকারে আমি একলা কাঁদি
যেন কিছুই গুছিয়ে উঠতে পারিনি
আমি চলে গেলে দেখো কিছুই হবে না…
সুদীপ ঘোষাল
মর্গ
এবার রেল লাইনের ধারে,মর্গে
পড়ে থাকে শখের শরীর
আশা দেখেছিলো আলো
নগ্নতাকে সাদা কাপড় দিয়েছিলো
এখন নিজেই কালো কাপড়ে ঢাকা…
তুষার ভট্টাচার্য
নদীর পাড়ে
হেমন্তের পর্যটক এসে দেখে গেছে
সূর্যাস্তের ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে
ব্যর্থ কবি ঘুমিয়ে রয়েছে
অসমাপ্ত পান্ডুলিপি বুকে নিয়ে
নির্জন নদীর পাড়ে ;
তার না কামানো চুল দাড়ি,
রোগাটে শরীর ঢেকে গেছে
মনস্তাপের অক্ষরে ।
♦—♦♦—♦
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34