Advertisement
  • কে | রি | য়া | র-ক্যা | ম্পা | স ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
  • আগস্ট ৬, ২০২৩

ধারাবাহিক আত্মকথা : আমাদের বিদ্যানিকেতন

জাকির হোছেন্
ধারাবাহিক আত্মকথা : আমাদের বিদ্যানিকেতন

 

আমিত্বহীনতার বৃত্তান্ত

 
নিপুণ কৌশলে, শিক্ষা আর সফরের শাশ্বত আবেদনকে মিলিয়ে দিলেন ভ্রমণ পিপাসু আর শিক্ষাব্রতী জাকির। এন.ই.এফ প্রতিষ্ঠার সংহত প্রয়াসের আগে, ১৯৯৫ সালে সেণ্ট্রাল এশিয়ার তাসখন্দ ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বলতে বলতে প্রকারান্তরে বললেন, সফর ছাড়া শিক্ষা অসম্পূর্ণ। ‘বিদ্যার্জনের জন্য প্রয়োজনে সুদূর চিনেও যেতে হবে।‘ বাইরের আমির আবরণ খুলে ফেলে দেখতে হবে দেশ-বিদেশের অসংখ্য নিদর্শন, যেখানে ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির সমস্ত পাঠশালা।  বিদ্যানিকেতন নির্মাণের নেপথ্যে কি নিহিত জাকিরের এমন কোনো অনুশীলন আর পর্যবেক্ষণ, যেখানে অশেষ এসে হাত লাগায়, নির্দেশ দেয়–উত্তিষ্ঠত, জাগ্রত?
 
সম্পাদক

৬.০৮.২০২৩
 
 

• সপ্তম পর্ব •

১৯৯৫ সালে, আমি প্রথম বিদেশ সফরে যাই। একা। তখনো অবিবাহিত। এন.ই.এফ কলেজ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। কঠিন লড়াই। নিঃসঙ্গ নই। বাড়ির লোকজনের সমর্থনে উদ্বুদ্ধ। বন্ধুরা সায় দিচ্ছে, পরামর্শদানে কার্পণ্য নেই। প্রধান সমস্যা অর্থের, সক্রিয় সহযোগিতার। পরিস্থিতি অনুকূল নয়, প্রবল বিরুদ্ধও নয়। দেশ-বিদেশে কনসালটেন্সি করে আয় করতে হয়, সে টাকায় নিজের খরচ চলে। যথাসম্ভব সঞ্চয় করছি। ওই সঞ্চয় ভাঙিয়ে বিদেশ ভ্রমণে বের হলাম, উদ্দেশ্য দেশ দেখা, দেখতে দেখতে শিক্ষাগ্রহণ, বিভিন্ন দেশের শিক্ষা বিষয়ক পরিকাঠামো, পাঠক্রম, অত্যাধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি খতিয়ে দেখা।
 
পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কনসালটেন্সির সূত্রে। ঠিক করলাম, সেণ্ট্রাল এশিয়ার উজবেকিস্তান দিয়ে আমার বিদেশ সফর শুরু করব। ওখানকার ভাষা আলাদা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস স্বতন্ত্র হলেও ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে  সমরখন্দ, বুখারা, উজবেকিস্তানের সম্পর্ক বহুকালের। এসব অঞ্চলের বহু মানুষ যুগ যুগ ধরে ভারতে এসে বসবাস করেছে। প্রাক-ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করত। স্বভাবে, কোমল। সাহসে অপরাজেয়। ভারতীয় ভাষা-সাহিত্যে, শিল্পকর্মে তাঁদের অবদান অসামান্য। বহির্বাণিজ্যেও নতুন পথের দিশারী। সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে চিন ও ভারত পর্যন্ত দীর্ঘ সিল্ক রুট ছিল। রাজনৈতিক কারণে আজ তা ছিন্নভিন্ন। বিভিন্ন দেশ ঐতিহ্যবাহী সিল্ক রুট  আবার চালু করার স্বপ্ন দেখছে। এ স্বপ্ন সম্ভব। স্বপ্নের সঙ্গে প্রাচ্যবিদ্যাচর্চার নতুন দিগন্ত তৈরি হতে পারে। সম্ভাবনাময় এলাকা।
 
আমার লক্ষ্য, অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে মধ্য এশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি চর্চার প্রসার কতটা আর কীভাবে হয়েছে, খুঁজে দেখা। সফরের গোড়াতে উজবেকিস্তানের তাসখন্দকে বেছে নিলাম। ইতিহাস পাঠের সুযোগে পরিচিত এলাকা। রাশিয়া যখন আমেরিকার প্রবল শক্তিধর প্রতিদ্বন্দ্বী আর ভারতের প্রশ্নহীন বন্ধু, তখন হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্র অখণ্ড সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে যেত। আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার অনুশীলনে রুশ ভূমিকা অসামান্য। ইউরোপ আর আমেরিকার দরজা তখন এতটা উন্মুক্ত ছিল না। পশ্চিমের ওই অংশ ভারতীয়দের সন্দেহের নজরে দেখত। একসময় চাইলেই ভিসা মিলত না । রুশরা পশ্চিমিদের ভালো চোখে দেখত না, কিন্তু ভারতীয়দের ব্যাপারে অনেক উদার ছিল, ভারতীয় পড়ুয়াদের বৃত্তি দিত। বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল কেজিবি। সেণ্ট্রাল এশিয়ার প্রতিবেশী আরব-অনারব দেশগুলোকে এতটা গুরুত্ব দিত না মস্কো। মধ্য এশিয়ার নজরেও ছিল এক এবং অদ্বিতীয় রাশিয়ার সদর দফতর। ব্যবসা-বাণিজ্যের খাতিরে, বিশেষ করে রেশম শিল্পের জন্য সেণ্ট্রাল এশিয়ায় ভারতীয়দের আসা-যাওয়া লেগে থাকত।
 
তাসখন্দ তখন বিশাল শহর। যেন সবুজে ঘেরা মনোহর বাগিচা । চওড়া রাস্তা, বাড়ি-ঘরে অতীত আর আধুনিক স্থাপত্যের মিশ্র-রীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবীনের অভ্যুদয়।
 
বাংলা, অসমিয়া, ইংরাজি আর হিন্দি ছাড়া অন্য কোনো ভাষা আমি জানি না। সে কারণে পাঠক্রমের বিষয়-আশয় আমার জ্ঞানের বাইরে। দোভাষীর সাহায্য নিতে হচ্ছে।
 
মধ্য এশিয়ার সমাজ তখন স্থিতিহীন। বৃহত্তর রাশিয়া ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। মিকাইল গর্ভাচবের পেরেস্ত্রৈকা আর গ্লাসনস্তের কল্যাণে নিয়ন্ত্রণহীন মুক্তির হাওয়ায় উড়ছে বহুদেশীয় রুশ নাগরিকরা। ১৯৯১ সালের দিকে, ১৫টি বড়ো বড়ো অঙ্গরাজ্য পূর্ণ স্বাধীন হয়ে গেল, আমার রাশিয়া ও তাসখন্দ সফরের প্রায় পাঁচ বছর পর।  তখন রাশিয়া বলতে বোঝাত ফেডারেল স্টেট অব মস্কো,  পিটার্সবার্গ আর আশেপাশের ২১ টি রিপাবলিক। সেন্ট্রাল এশিয়া পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এক একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র। আগের সেই বাহুবল, বিত্তবল নেই, তবু যা আছে, যথেষ্ট। বিশ্বের উন্নয়নশীল অনেক দেশের চেয়েও বেশি। উজবেকিস্তান অপেক্ষাকৃত উন্নত। প্রচুর ট্যুরিস্টের ভিড় হয়।
 
তাসখন্দে আমার বিশেষ পরিচিত কেউ ছিল না, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চিঠিপত্রে আলাপ ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন কথা দিয়েছে,  অসমের বাসিন্দা। সোজা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি ধরতে হবে। চেনা মুখ নজরে আসছে না। বিমান বন্দরের ভেতরে, বাইরে গিজ গিজ করছে বিদেশি ট্যুরিস্টরা। বিমান বন্দরে আমাকে রিসিভ করতে যার আসার কথা, বারবার তাকে ফোন করছি, কেউ ফোন তুলছে না। অসহায় বোধ করছি। ইতিমধ্যে অন্য একটা ফ্লাইট ল্যাণ্ড করল। মাথায় কালো চুল, একটু ফর্সা, দুজন যুবক একেবারে আমার দিকে তাকিয়ে দেখল। ওদের দিকে ছুটলাম। আমার সমস্যা কী, ওরা যেন বুঝতে পারল। উপযাচক হয়ে এগিয়ে এসে কথা বলল উর্দুতে। বলল, তাঁরা পাকিস্তানি নাগরিক। দুজনের অমায়িক ব্যবহার আর আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। বললাম, আমি ভারতীয়। আমাকে একজনের বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা। ফোন করছি,ওপার থেকে কোনো জবাব নেই। দুই যুবক সরাসরি প্রস্তাব দেয়, তুমি আমাদের সঙ্গে যেতে পার, ফ্রেশ হয়ে তোমার বন্ধুর খোঁজে বেরিয়ে যেও। আমি এককথায় রাজি। ওদের সঙ্গে ট্যাক্সিতে উঠে পড়লাম। নগরের চাপ এড়িয়ে উজবেক ট্যাক্সিওয়ালা কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের নিয়ে ওদের বাড়িতে হাজির। দুই কামরার সাদামাটা বাড়ি। ওরা ভাড়া থাকে। ব্যবসা করে। মাঝে মাঝে দেশে যায়, আবার ফিরে আসে। আলাপ জমে উঠল। চা, টিফিনের ব্যবস্থা করল। খিদে পেয়েছিল, গোগ্রাসে গিলছি। খেতে খেতে আলাপ করছি। কী করি, কোথায় থাকি, কোথায় যাব। ওরা আমার পরিচয় পেয়ে মুহুর্তে আপন হয়ে উঠল। বলল, ভারত-পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ একে অন্যের আত্মীয়। বন্ধন অটুট। রাষ্ট্র আর রাজনীতি আমাদের আলাদা করে রাখে, আমরা এক হয়ে, একই সুরে কথা বলতে চাই।
 
এই প্রথম পাকিস্তানিদের সঙ্গে আমার পরিচয়। ওরাও স্বীকার করল, কোনো ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে আগে কখনো তাঁদের এরকম আলাপ হয়নি। দিলখুলে তিনজন কথা বলছি। দিন গড়িয়ে বিকেল হয়ে সন্ধ্যার দিকে এগোচ্ছে। রাস্তার তরতাজা সূর্য। ভিড়। বলল, এবার তোমার বন্ধুর খোঁজ করা যাক। বলেই ফোন ঘোরাতে লাগল। ওরা জানাল, তোমার গেষ্ট আমাদের সঙ্গে আছেন। মিনিট কয়েকের মধ্যে আমার বন্ধু এসে হাজির। বলল, অফিসে ছিল, ফোন ধরতে পারেনি। বন্ধু আমাকে তার বাড়ি নিয়ে গেল।
 
তাসখন্দ সফরের মেয়াদ তিনদিন। একা একা ঘুরছি। কখনো ট্যাক্সিতে। কখনো পায়ে হেঁটে। শহরের নাভিস্থলে, স্বাধীনতার বিশাল আয়তনের স্মারক চিহ্ন মুস্তাকিলিক, সোভিয়েত আমলে তৈরি। স্থাপত্য, স্মৃতিস্তম্ভ চৌহদ্দি দেখে বুঝতে পারছি, রাশিয়া মধ্যযুগ থেকে কীভাবে দ্রুত তাসখন্দে আধুনিকতার হাওয়া বইয়ে দেয়, আবার তার ঐতিহ্য প্রীতিতেও হস্তক্ষেপ করেনি। যে কারণে তাসখন্দ আমার সফর তালিকার অন্তর্ভূক্ত, সে দিকে পা বাড়ালাম পরের কয়েকদিন। তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কাউকে চিনি না। একা যেতে হল। বিশাল ক্যাম্পাস। পড়ুয়ার সংখ্যা ব্যাপক। পশ্চিম এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আর আফ্রিকা থেকে আগত। ওদের কোলাহল, ওদের আড্ডা সব মিলিয়ে ভার্সিটি ক্যাম্পাস বিস্ময়কর বৈচিত্র্যের নিদর্শন হয়ে আছে। রাশিয়া উজবেকিস্তানকে যা দিয়েছে, তা ভবিষ্যত খতিয়ে দেখবে। সামন্তবাদী শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তি আর স্বাধীনতার যে স্বাদ উজবেকিস্তান পেয়েছিল, যার আভা ছড়িয়ে আছে তাসখন্দের রাস্তা, ঘরবাড়ি আর কুসুমিত বাগানে, তা মূল্যে অমূল্য।
 
তাসখন্দের মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে একদিন ঘুরতে গেলাম। চিকিৎসাবিদ্যার সরব মহানগর। এদিক-ওদিকে বিস্তৃত। ভেতরে হাসপাতাল, ল্যাব আর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনোর ব্যবস্থা। সংলগ্ন হোস্টেলে থাকার এলাহি বন্দোবস্ত। দিন-রাত ব্যস্ততায় গুলজার। শান্ত পরিবেশ। সবাই নিজের কাজে মশগুল।
 
তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি ও মেডিক্যাল সিটি সফরের পর আমার ভেতরের অবরুদ্ধ রেখা নির্দিষ্ট স্বপ্নের আকার নিতে থাকে। দেশ- বিদেশের সফরকে কেন শিক্ষা গ্রহণের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলা হয়, সেসব হিতোপদেশের ছবি ভেসে ওঠে, নিরাকারের গর্ভেই সাকারের জন্ম, ভাবনা-চিন্তায় এই ব্যবহারিক বোধ বাস্তব হয়ে উঠছে। এন.ই.এফ তৈরির পিছনে তাসখন্দ সফর আমাকে আলোড়িত করেছিল, নাড়িয়ে দিয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্নকে। এতদিন পর একথা নিঃসঙ্কোচে বলতে পারি।
 
উজবেকিস্তানের অবস্থা তখন নাজুক। কমিউনিস্টতন্ত্র বিদায় নিয়েছে। সমাজ অস্থির। রাজনীতি দিশাহীন। সামন্তবাদের প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়। মধ্য ও নিম্নবিত্তের বেঁচে থাকা দুঃসাধ্য। চাকরি-বাকরি নেই। রুশ সাহায্য নেই। নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। রপ্তানি কম, আমদানি বেশি। রপ্তানির উপকরণ গ্যাস। ব্যবস্থাপনা নড়বড়ে। রাষ্ট্রের  বিদেশি আয় সীমিত। কৃষি আর স্থানীয় পণ্য উৎপাদন জীবিকার প্রধান অবলম্বন। বিদেশি পর্যটকরা আসে। সংখ্যা বড়ো নয়। গণতন্ত্র খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আশপাশের একাধিক দেশে সন্ত্রাসবাদ মাথা তুলছে।  উজবেকিস্তানেও ঢোকার চেষ্টা করছিল তারা। তখনই রাষ্ট্র রক্তচোখ দেখিয়ে জানিয়ে দেয়, উজবেকিস্তান ধর্মনিরপেক্ষতা আর গণতান্ত্রিকতাকে আঁকড়ে থাকবে। সরকার চালাবেন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রের হুকুম মেনে নেয় জনগণ এবং জাতিরাষ্ট্রের চেহারায় দেশের উত্তরণকে বরণ করে নেয় নির্বিশেষ।
 
তাসখন্দ সফরকে ঘিরে আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ইউরোপ বা পশ্চিম এশিয়ার মডেল থেকে উজবেকিস্তানের চেহারা স্বতন্ত্র। ত্রিকালকে গ্রহণ আর বর্জন করে নির্মিত তার রাষ্ট্রীয় ভিত্‌। এটাই তার শক্তি। এখানেই  নিহিত তার শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিক ভিত্‌। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আছে, আবার নেই। বেসরকারি প্রয়াসে রাষ্ট্রের সম্মতি অপরিহার্য। উজবেকরা যে আধুনিক, সহিষ্ণু এবং ক্রমাগত সামনে ছুটতে চায়, চোখ খুলে, হৃদয় খুলে, তারই অন্তরঙ্গ নিদর্শন তার শিক্ষাব্যবস্থা। সংক্ষিপ্ত সফরে অন্তত এইটুকু বুঝতে পেরেছি।  সফরের মেয়াদ দীর্ঘ হলে আরো গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ মিলত। প্রাসঙ্গিক দুর্বলতা অথবা সক্ষমতার সন্ধানও খুঁজে পেতাম।
 
তিন দিনের বেশি থাকা হয়নি। পকেটে টান। সময় কম। এবার মস্কোর দিকে ছুটতে হবে। পতনোত্তর সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বরূপ খুঁজতে। বিদায় তাসখন্দ। আপাতত আলবিদা। মস্কো গিয়েও তাসখন্দের স্মৃতি আমাকে টানবে। স্থানীয় আতিথ্য ভুলব না। ভুলব না দুই পাক নাগরিকের সহজ বিবৃতি, আমরা অভিন্ন। রুচিবোধে, অভ্যাসে অখণ্ড। নষ্টের গোড়া ওই সব ভুল মানুষের ভুল রাজনীতি।
 
ক্রমশ…

♦—♦♦—♦♦—♦♦—♦

 
লেখক: উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম বেসরকারি কলেজ গোষ্ঠী এন.ই.এফ-এর চেয়ারম্যান। গুয়াহাটির বাসিন্দা
 
আগের পর্ব পড়ুন: ষষ্ঠ পর্ব

ধারাবাহিক আত্মকথা : আমাদের বিদ্যানিকেতন


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!