Advertisement
  • কে | রি | য়া | র-ক্যা | ম্পা | স দে । শ
  • জুলাই ২৩, ২০২৪

শূণ্য পদে নিয়োগ নেই। ফি বছর বাড়ছে প্রতিযোগীতা, তবু সরকারি চাকরিতেই আস্থা দেশের বৃহদাংশের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শূণ্য পদে নিয়োগ নেই। ফি বছর বাড়ছে প্রতিযোগীতা,  তবু সরকারি চাকরিতেই আস্থা দেশের বৃহদাংশের

একটি সরকারি চাকরি, ভারতের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকারের একটাই স্বপ্ন। নিশ্চিত আয়, কাজের সুরক্ষা, সন্তুষ্টির একমাত্র চাবিকাঠি।অথচ সারা দেশে এই একটি চাকরি জোগাড়ের চেষ্টায় ন দশ বছর পরিশ্রম করেও অধরাই থেকে যায়। বাধ্য হয়েই বেসরকারি সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক বেতনে যুক্ত হতে হয়। অথচ প্রতি বছর বাজেট পেশ করার আগে শোনা যায় ভারতের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৪-২০২২ সালে ২২ কোটি মানুষ সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, যাদের মধ্যে মাত্র সাত লাখ নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরও, অর্থনীতির উন্নতি এবং বেসরকারী খাত প্রসারিত হওয়া সত্ত্বেও লক্ষ লক্ষ ভারতীয় তরুণ তরুণী প্রতি বছর সরকারি চাকরির পেছনে ছুটছে।

বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশে বেসরকারি খাতের চাকরির চেয়ে সরকারি চাকরিকে অনেকেই বেশি নিরাপদ বলে মনে করেন।একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা প্রস্তুতির সংস্থার কর্ণধার জাফর বক্স সংবাদমাধ্যমে বলেন, পরিবারের একজন ব্যক্তিও যদি সরকারি চাকরি পায়, তাহলে গোটা পরিবার সুরক্ষিত খাকবে, এই ধারণা দেশের বহু মানুষের ।

২০১৪ সাল থেকে, ভারতের জিডিপি ২০২৩-২৪ (এপ্রিল-মার্চ) অর্থবছরে ২ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩.৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছেছে।চলতি বছরে তা আরও ৭.২ শতাংশ প্রসারিত হবে বলে অর্থনীতিবিদদের অনুমান ।

চাকরি প্রার্থীরা বলছেন যে, সরকারি চাকরির আজীবন নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুবিধা, পেনশন এবং আবাসন সুবিধা বেসরকারি চাকরিতে নাও পেতে পারে।চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রকাশিত সরকারি তথ্য দেখায় যে ২০১৭/১৮ সাল থেকে ভারতে প্রতি বছর ২ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে । কিন্তু বেসরকারি চাকরির বেশিরভাগই নিয়মিত মজুরি সহ দাফতরিক পদের পরিবর্তে স্ব উদ্যোগ এবং অস্থায়ী নিয়োগ । জাফর জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদির দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পিছনে এটিও অন্যতম কারণ। বেঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রোজা আব্রাহাম এবিষয়ে বলেছেন, এমন নয়, যে দেশে কাজ নেই। কিন্ত উপযুক্ত বেতন কাঠামো, চাকরি সুরক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ‘সুযোগ’ সবাই দেয় না।’

বছরের শুরুর দিকে উত্তর প্রদেশ পুলিশ বাহিনীতে ৬০০০০ শূন্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ৫০ লক্ষ্য আবেদনকারী এবং কেন্দ্রীয় সরকারী নিরাপত্তা সংস্থাগুলিতে কনস্টেবল পদের জন্য একটি পরীক্ষায় ২৬ হাজার পদে আবেদন করে ৪৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। অফিস বয় এবং সরকারি বিভাগে গাড়ি চালকের সাড়ে সাত হাজার পদে আবেদন করেন ২৬ লক্ষ চাকরীপ্রার্থী ।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, সামরিক ক্ষেত্রে, স্কুল শিক্ষায়, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে ৬০ লক্ষ শূণ্যপদ রয়েছে ।ফলে বহু মানুষ শুরু করেছেন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ইনস্টিটিউটের ব্যবসা।জাফরের বক্তব্য, এর চাহিদা কোনোদিন কমবে না।স্টাফিং ফার্ম টিমলিজ সার্ভিসেস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘বেসরকারি সেক্টর মেধার উপর ভিত্তি করে এবং অর্থনৈতিক উত্থান-পতন এতে প্রভাব বিস্তার করে।, বেশিরভাগ সরকারি সেক্টরে আপনি একবার আপনার কর্মক্ষমতা নির্বিশেষে চাকরি পেয়ে গেলে, আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত।’


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!