Advertisement
  • ক | বি | তা
  • ডিসেম্বর ৪, ২০২২

গুচ্ছ কবিতা

বাংলা কবিতা দিশাহারা, অবক্ষয়ে আক্রান্ত । এরকম গুরুগম্ভীর আক্ষেপের জবাবের অস্ত্র কী? অবশ্যই শব্দ, শব্দের সমবেত ধ্বনি, প্রতিধ্বনি। নেতির ধারণাকে পাল্টে দেওয়া দরকার । এগিয়ে আসুক কবিদের জোরালো কব্জি আর আঙুলের শাণিত ডগা ।

অদীপ ঘোষ
গুচ্ছ কবিতা

চিত্র: নির্মাল্য নাগ

শ্রাবণের চাঁদ

বিষাদ রঙের চাঁদ চোখে নিয়ে রূপসী রাত্রিরা
মাইল মাইল ভেজা আষাঢ় পেরিয়ে  মাটিবুকে নামে
ততক্ষণে পাতালের সব সোনা মাটির ওপরে এনে দেশান্তরী রোদ
এই সোনা চাঁদের আবেগ       যার কোনও বিনিময় মূল্য নেই
অতএব চাঁদ কোনো সামাজিক চরিত্রই নয়
শুধু কিছু কাক আর উদ্ভট দু-চার-জন চাঁদকে নক্ষত্র ভেবে গ্রহ হতে চায়
গ্রহের ভাষায় তারা বাক্যালাপ করে      সেরকমই জীবনযাপন
চাঁদের কুসুম মেখে স্বপ্ন দেখে কুসুমিত পৃথিবীর মুখ

 

বিহ্বলতা

গভীর অরণ্যে রাস্তা গুলিয়ে ফেলেছি
নিজেকে আড়াল করে নিঃশব্দে অজস্র পায়ে চারপাশে মৃত্যুরা হাঁটছে
যতই এগোই দেখি রাস্তার ভেতর থেকে আরেকটা রাস্তা    অবিকল একই রকম
অজস্র রাস্তার ভিড়ে গন্তব্য লোপাট
ছ-খানা দরজা দিয়ে অগত্যা অরণ্যে ঘর বাঁধি
দাপুটে হাওয়ারা মৃত্যু ঠোঁটে নিয়ে সারাক্ষণ ঘর-বার করে
একটু একটু করে প্রতিবারই কুরে খায় আমার সবুজ
কুরে কুরে খেয়ে ফেলে আমার ছায়াকে
তারপর ……

 

ঋতুবদল

হৃদযন্ত্র অকারণে কেঁপে উঠলেই বুঝি শীত এসে গেছে
সেই শীত যার জেরে অভিমানী জল
যার ভয়ে বিকেলেই সূর্য বাড়ি ফেরে
চারপাশে নির্জনতা দাপিয়ে বেড়ায়
উষ্ণতার কারুকার্য সেই নির্জনতা ভেঙে বসন্তের স্বরলিপি লেখে
সন্ন্যাসের ছদ্মবেশে রোদ এসে আরও কাছে বসে
শুরু হয় গোপন কথার ইতিহাস


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!