- টে | ক | স | ই দে । শ
- জুলাই ২৭, ২০২৪
কৃষ্ণনগরের ‘মাদার্স হাট’, অনন্য গুণের অনন্যার হাতে খাবার একবার চেখে দেখবেন নাকি?

কৃষ্ণনগরের এক রেস্তোরাঁতে চাইনিজ খেতে গিয়েছেন সুপ্রিয় বাবু। অনেকদিন ধরেই তাঁর বন্ধু বলছেন, ‘মাদার্স হাট’ রেস্তোরায় রয়েছে একটা চমক! কি সেই অভিনবত্ব তা অবশ্য তিনি খোলসা করেননি। বন্ধুর কথা মতো সেই রেস্তোরাঁয় একদিন ঢু মারলেন সুপ্রিয় বাবু । ভোজনশালার অন্দর সজ্জা বেশ পরিপাটি । মেনু দেখে খাবারের অর্ডার দিতে গিয়েই চমকে উঠে শুনলেন, কেউ তাঁকে বলছে, নমস্কার, আমি অনন্যা। নারী কন্ঠের এমন ধ্বনিতে পাশে তাকিয়ে অবশ্য কোনও নারীকে দেখতে পাননি তিনি।বদলে দাঁড়িয়ে আছে একটি যন্ত্র।রীতি অনুযায়ী, তাঁকেই খাবারের অর্ডার দিতে হবে।আমতা আমতা করে সুপ্রিয়বাবু তাই দিলেন। দেখলেন আরও তিনটি রোবট এ টেবিল থেকে সে টেবিল ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রান্নাবান্নাও কি এই রোবটেরাই করে?
ভাবছেন , এমন সময় শুনতে পেলেন সেই কন্ঠ বলছে,’ আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন’। সুপ্রিয় বাবু দেখলেন, যাতায়াতের রাস্তায় এক যুবক দাঁড়িয়ে মগ্ন হয়ে কারোর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। সে চমকে এক পাশে সরে দাঁড়ালো। এরপর দেখলেন রোবট অনন্যার পিছনে একজন মানবীও রয়েছেন।যাক বাবা , তাহলে এখানে সবাই রোবট নয়। অনন্যার দিকে তাকাতে দেখলেন, সে চতুর্ভুজা বা বলা ভাল চতুর্শেলভা।চারটি তাক রয়েছে তার শরীরে।প্রতিটিতে ধোঁয়া ওঠা গরমাগরম সুস্বাদু খাবার। নির্দিষ্ট অর্ডার পেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এদিক ওদিক চলে-ফিরে খাবার পৌঁছে দেয় সে ও তার রক্ত মাংসের সহকারি।
পশ্চিমবঙ্গে কৃষ্ণনগরের ‘মাদার্স হাট’ একমাত্র ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ পরিচালিত রেস্তোরাঁ। ২০১৩ সালে জাতীয় সড়কের পাশে ছোট একটি চালাঘর থেকে শুরু হয়েছিল এই মাদার্স হাট। প্রথম অবস্থায় তিনজন কাজ করতেন।পরে দুজন ছেড়ে গেলেও একজন এই রেস্তোরাঁ ছেড়ে যাননি।তাঁর হাত ধরেই অগ্রগতি দেখেছে এই ‘মাদার্স হাট’।এখন তিনিও এই রেস্তোরাঁয় নেই, তবে রয়ে গেছে তাঁর অবদান। সেই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চার চারটি রোবটকে তাঁর নামেই নামাঙ্কিত করেছেন এই রেস্তোরাঁর মালিকপক্ষ।অনন্যা।অর্থাৎ, যার কোনো তুলনা নেই।
❤ Support Us