Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • অক্টোবর ৭, ২০২৫

জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সানায়ে তাকাইচি ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সানায়ে তাকাইচি ?

জাপানের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা শাসক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে। সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি দলীয় সভাপতির পদে বহাল হলেন। সম্ভবত তিনিই জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। তবে, ৬৪ বছর বয়সী তাকাইচির সামনে এখন চ্যালেঞ্জের পাহাড়। দলের জনসমর্থন ফিরে পেতে তাঁকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক সুনিশ্চিত করতে হবে। বিশেষত, আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য জাপান সফরেই তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতার পরীক্ষা হবে।

তাকাইচি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-এর রক্ষণশীল নীতির দৃঢ় সমর্থক। তবে তার এই অতি-রক্ষণশীল নীতি, জাপানের বেইজিং ও সিয়ুলের সঙ্গে সম্পর্ক কঠিন করে তুলতে পারে। এর ফলে তিনি হারাতে পারেন দীর্ঘমেয়াদী জোট অংশীদার কোমেইতো-কে। রাজনীতির কারবারীদের মতে, তাকাইচি এখন দ্বন্দ্বের মুখোমুখি—নিজের আদর্শে অটল থেকে জোট হারানো না কি মধ্যমপন্থায় সরে গিয়ে কঠোর সমর্থকদের অসন্তুষ্ট করা। এলডিপি এবং বিরোধী দলগুলো মধ্য অক্টোবরের মধ্যে পার্লামেন্ট আহ্বান করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছে। নির্বাচনের পর এলডিপি অনেকটা ভাগ্যবান, কারণ সংসদের নিম্নকক্ষে তারা এখনো সর্ববৃহৎ দল, আর বিরোধীরা তেমন একক শক্তি নয়।

তাকাইচির প্রথম বড়ো পরীক্ষা হবে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা। পাশাপাশি, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক তার কূটনৈতিক সক্ষমতার দিকেও পরীক্ষা নেবে। ট্রাম্প সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তাকাইচিকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে ‘ জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেছেন। এদিন সংবাদ সম্মেলনে তাকাইচি বলেছেন, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র জোটকে শক্তিশালী করা এবং দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন-সহ ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ তার কূটনৈতিক অগ্রাধিকার হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের ও ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক ও বিনিয়োগ চুক্তি তিনি সম্মান করবেন।

তবে এটুকুই পর্যাপ্ত নয়, একই সঙ্গে তাকে বিরোধীদের সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। এলডিপি চায় কোমেইতোসহ অন্তত একটি প্রধান বিরোধী দলকে জোটে আনতে। তবে কোমেইতো নেতাদের উদ্বেগ ও চিন্তা ঘনাচ্ছে, কারণ তাকাইচির নীতি তাদের কাছে তেমন গ্রহণযোগ্য নয়। পার্টি সভাপতির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর শীর্ষ সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন। এতে আসোর প্রভাবিত ভোটের প্রতিফলন দেখা যায়। অন্যদিকে কিছু প্রাক্তন আবে-ফ্যাকশন আইনপ্রণেতাকে সিনিয়র পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবও উড়ে আসে। বৃহত্তম বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান এর নেতা যোশিহিকো নোডা এই পরিকল্পনাকে ‘অকল্পনীয়’ বলে কটাক্ষ করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন তাকাইচিকে দুই দিকের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে। তা না হলে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পদযাত্রা কণ্টকময় হয়ে উঠতে পারে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!