- এই মুহূর্তে স | হ | জ | পা | ঠ
- জানুয়ারি ৮, ২০২৫
ইসরোর নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা কেন্দ্রের। এস সোমনাথের উত্তরসূরি ‘চন্দ্রমানব’

চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেতে চলেছেন ভি নায়ারণ। বিদায়ী চেয়ারম্যান এস সোমনাথের মেয়াদ কতদিন?
ভারতের মহাকাশ সংস্থা বা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-এর নতুন চেয়ারম্যানের নাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। নতুন চেয়ারম্যান হতে চলেছেন ভি নায়ারণ। ইসরোর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এবং অভিযানে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে প্রপালশন সিস্টেমের উপর কাজ করেছেন তিনি। শুধু চেয়ারম্যান নয়, ইসরো সচিবের পদও সামলাবেন তিনি।
আগামী ১৪ জানুয়ারি বর্তমান চেয়ারম্যান এস সোমনাথ দায়িত্ব ছাড়ছেন। তার আগেই নতুন চেয়ারম্যানের ঘোষণা করলো মন্ত্রিসভার নিয়োগ করা বিশেষ কমিটি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২ বছরের জন্য দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। এর আগে ভালিয়ামালা লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের (এলপিএসসি) প্রধান ছিলেন তিনি। দেশের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন নারায়ণ। ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজন হয়।
ইসরোর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান আবিষ্কারের নারায়ণের বিশেষ ভূমিকা আছে। প্রপালশন সিস্টেমের উপর বহুদিন ধরে কাজ করেছেন তিনি। কোনও মহাকাশ উৎক্ষেপণে ‘লঞ্চপ্যাড’ এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়েও গবেষণা করেছেন। ইসরোর আসন্ন একাধিক মকাকাশ প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত এই মহাকাশ বিজ্ঞানী। মকাকাশ যানে জন্য জাতীয় স্তরের মানব রেট সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন নারায়ণ।সংবাদমাধ্যকে ইসরোর নতুন প্রধান নারায়ণ বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে ভারতের জন্য একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ রয়েছে। আশা করছি যা ইসরোকে আরও উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। আমাদের কাছে দুর্দান্ত প্রতিভা রয়েছে।’’
তামিলনাড়ুতে জন্ম নারায়ণের, সেখানেই বেড়ে ওঠা। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। খড়্গপুর আইআইটি থেকে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতকোত্তর পর্বে প্রথম স্থান অধিকারের জন্য রৌপ পদক লাভ করেন। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিইচডি শেষ করে ইসরোতে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৪ সালে রকেট এবং মহাকাশ প্রপালশন বিশেষজ্ঞ হিসাবে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থায় যোগ দেন নারায়ণ। ২০১৮ সালে লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের ডিরেক্টর হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়।
উল্লেখ্য, এস সোমনাথ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইসরোর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর মেয়াদকালে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে প্রথম রোভার অবতরণকারী হিসাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অ্যামেরিকা, অধুনা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চিনের সঙ্গে একই মর্যাদা লাভ করে ভারত।
❤ Support Us