Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • মার্চ ২৮, ২০২৫

লোহিত সাগরে সাবমেরিনের সলিল সমাধি। নিহত ৬, উদ্ধার ৩৯ পর্যটক

লোহিত সাগরে সাবমেরিনের সলিল সমাধি। নিহত ৬, উদ্ধার ৩৯ পর্যটক

মিশরের রিসোর্ট শহর হুরঘাদায় রাশিয়ান পর্যটকদের লোহিত সাগরে ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া একটি পর্যটন সাবমেরিন ডুবে যায়। ঘটনায় নিহত ৬, ৩৯ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। হুরঘাদায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস জানিয়েছে, ‘সিন্দবাদ’ নামের সাবমেরিনটিতে ক্রু ছাড়াও ৪৫ জন রাশিয়ান পর্যটক ছিলেন।

মিশরের রিসোর্ট শহর হুরঘাদায় রাশিয়ান পর্যটকদের লোহিত সাগরে ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া একটি পর্যটন সাবমেরিন ডুবে যায়। হুরঘাদায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাভাস জানিয়েছে, ‘সিন্দবাদ’ নামের সাবমেরিনটিতে ক্রু ছাড়াও ৪৫ জন রাশিয়ান পর্যটক ছিলেন। জাহাজে থাকা বেশিরভাগ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় গভর্নরের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাহাজের ক্রু-সহ সকল যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো যাত্রী বা ক্রু সদস্য নিখোঁজ নেই। তাঁরা আরো বলেন, ‘সিন্দবাদ’ নামের সাবমেরিনটিতে মোট ৫০ জন আরোহী ছিল। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন রাশিয়া, ভারত, নরওয়ে ও সুইডেন থেকে আসা বিভিন্ন দেশের পর্যটক বাকি ৫ জন মিশরীয় ক্রু সদস্য। দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন।

বৃহদাকার ওই ডুব জাহাজ সমুদ্রের তলায় ২৫ মিটার পর্যন্ত যেতে পারে। লোহিত সাগরের অসাধারণ প্রবাল প্রাচীর ও সমুদ্রতলদেশের বৈচিত্র দেখবার জন্য জাহাজটি বড়ো বড়ো পোর্টহোল দিয়ে সাজানো। এই পর্যটন সাবমেরিন অন্যান্য সাবমেরিনের থেকে আলাদা। পিরামিডের দেশে লোহিত সাগর গুরুত্বপুর্ণ পর্যটন শিল্পের অন্যতম। দেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য খুঁটি। সারাবছরই রাশিয়া, ভারত, চিন, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, রোমাঞ্চকর অভিযানের অনুভূতি নিতে লাল সাগরে পারি দেন। আসওয়ানে নীল নদে ক্রুজে ভাসেন অনেকেই। অতীতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি বিদেশি পর্যটকদের উপর আক্রমণ করে পর্যটন শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। মিশর সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সাবমেরিন ডুবে যাওয়ার পিছনে কোনো জঙ্গীগোষ্ঠীর হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে সে দেশের পুলিশ-প্রশাসন। সাবমেরিনটি ডোবার কারণ অনুসন্ধানে ক্রু সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, মিশরে কয়েকটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত জুনে জঙ্গীদের আক্রমণের শিকার হয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। তবে সে সময় কোন প্রাণহানি ঘটেনি। গত নভেম্বরেও আরেকটি পর্যটক নৌকা ডুবে গিয়েছিল। তাতে মোট ৩১ জন পর্যটক আর ১৩ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, সে ঘটনায় অন্তত ১১ জন মারা গিয়েছিল। যা নিয়ে দেশে-বিদেশে তুমুল আলোচনা হয়েছিল। তখন রেড-সি প্রদেশের গভর্ন জানিয়েছিলেন, ‘সি স্টোরি নামের নৌকাটি সমস্ত নিরাপত্তা পরীক্ষায় পাশ করেছিল, তা সত্ত্বেও কেন সেটি ডুবে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এবছর ফেব্রুয়ারিতে হুরঘাদাতেই আরেকটি যাত্রিবাহী নৌকা ডুবে গেছিল। মিশরের পর্যটন মন্ত্রণালয় ও সরকার এখনো এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করে নি। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে মিশর পর্যটন ক্ষেত্র থেকে আয়ের ব্যপারে শীর্ষে রয়েছে।দেশটি পরত্রযটন থেকে সুয়েজ ক্যানেলের আয়ের দ্বিগুণ, প্রায় ১৪.১ বিলিয়ন ডলার রোজগার করে। মিশরের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এর উপরেই অনেকখানি নির্ভরশীল। প্রশ্ন উঠছে এত আয় থাকা সত্ত্বেও, পর্যটনক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে ফ্যারাওয়ের দেশের সরকারের গা-ছাড়া মনোভাব কেন? বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তা দেওয়া তাঁদের কর্তব্য।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!