Advertisement
  • দে । শ
  • জুন ১৫, ২০২৩

গ্রিসের উপকূলে জাহাজডুবি। মৃত ৭৯, নিখোঁজ বহু

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গ্রিসের উপকূলে জাহাজডুবি। মৃত ৭৯, নিখোঁজ বহু

গ্রিসের দক্ষিণ উপকূলে ভয়াবহ নৌকাডুবি। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৭৯ জনের সলিল সমাধি হয়েছে। উদ্ধার ১০৪। মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকশো যাত্রী ছিলেন। তাঁদের অনেকেই জলের তলায় আটকে রয়েছেন, কেউ স্রোতে ভেসে গেছেন। পরিস্থিতি সামলাতে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, অতিরিক্ত যাত্রী তোলাতেই ঘটেছে এই বিপত্তি। কত জন যাত্রী ট্রলারটিতে ছিল তাঁর আনুমানিক হিসেব পাওয়া যায়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতালিগামী মাছ ধরার নৌকাটি পূর্ব লিবিয়ার টোব্রুক থেকে কয়েকশো শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিল। গ্রিসের পাইলোস শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে পৌছানোর পর আচমকা উপকূল রক্ষী বাহিনির পক্ষ থেকে তাঁদের সাহায্য করার কথা বলা হয়। কিন্তু তাঁরা প্রত্যকেই ইতালি যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁর কিছুক্ষণ পরেই সম্ভবত অতিরিক্ত যাত্রীদের ভার সামলাতে না পেরে উল্টে যায় ট্রলারটি। নিখোঁজ হয়ে যান একাধিক মানুষ।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে তাঁরা উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে, একটি নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, একটি সামরিক যান ও একটি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। এখনো কজন নিখোজ র‍্য়েছেন সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন তাঁরা। যে সমস্ত মৃতদেহ এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের জাতীয়তার কথা জানা যায়নি । মনে করা হচ্ছে তাঁরা মিশর, সিরিয়া ও পাকিস্থান থেকে আগত। তাদের কালামাতা শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো মন্তব্য করতে চায়নি গ্রিস সরকার।

ভূমধ্য সাগর যথেষ্ট বিপদসঙ্কুল। এখানে ট্রলার বা জাহাজ ডুবির ঘটোনা প্রায়ই শোনা যায়। পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে শরণার্থী ও অভিবাসীদের ইউরোপিয় ইউনিয়নে যেতে গেল ভূমধ্য সাগর সংলগ্ন গ্রিস হয়ে যেতে হয়। দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক বলেছেন, ভূমধ্যসাগরের গভীরতম অংশের একটিতে নৌকাটি ডুবে গেছে। সেখান থেকে তা উদ্ধার করা যথেষ্ট কঠিন।

একসঙ্গে এত অভিবাসী কেন নিয়ে যাচ্ছিল  ট্রলারটি সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গ্রিস সরকার। অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বহুবার বলা হয়েছে একটি কঠোর অভিবাসন নীতি প্রণয়ন করতে। যাঁদের প্রকৃত অর্থেই তা প্রয়োজন তাঁদেরকে এর আওতায় আনা হোক। আশ্রয়, সহায়তা এবং নিরাত্তা প্রদান করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজ। এ নিয়ে ইইউকে ভাবতে হবে। গ্রিস বা সাইপ্রাসের এ ব্যাপারে ভাবার কথা নয়। অথচ উদ্বাস্তুদের নিয়ে কোনো সমস্যা হলে তাঁর দায় সম্পূর্ন ভাবে তাঁদের বহন করতে হয়। এব্যবস্থার শীঘ্রই অবসান হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!