- দে । শ স্মৃ | তি | প | ট
- ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
ফিরে আসছে হাসিহাসি মুখ। শূণ্যতায় স্তব্ধ ইদ্রিসের বন্ধুরা
তৃণমূলের বিধায়ক আর প্রাক্তন সাংসদ ইদ্রিস আলীর দুনিয়া থেকে প্রস্থানে একধরণের শূণ্যতা তৈরি হল, যা সহজে পূর্ণ হবে না । সদা হাসিখুশি, সহজ সরল জীবনযাপন, দলের একাংশ কর্মী আর নেতার দুর্নীতি নিয়ে মুখর নেতা জননেত্রীর সুনজর থেকে কখনো বঞ্চিত হননি। ইদ্রিস সাংসদ হবেন, বিধায়কের আসন অলঙ্কৃত করবেন, নিজেও ভাবেননি একসময়। দীর্ঘ সঙ্গীকে জনপ্রতিনিধিদের আসনে বসিয়ে মমতা প্রমাণ করেছিলেন, তাঁর মনোনয়ন অর্থহীন নয়।প্রথমে বসিরহাট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হলেন ইদ্রিস। পরে ভগবান গোলা থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক। সাংসদ হিসেবে ইদ্রিসের সমাজ মনস্কতা ক্রমান্বয়ে গাঢ়ো হয়েছে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাকে কখনো অস্বীকার করেননি। তথাকথিত সংখ্যালঘুর রাজনীতি করেননি। একসময় কংগ্রেস করতেন, পাশাপাশি বেকারি ব্যবসা। রাজনীতি আর ব্যবসার সংযোগ গড়ে ওঠেনি তাঁর ব্যক্তিগত আচরণে। চাইলে রাজনৈতিক সাফল্যকে ব্যবহার করে পারিবারিক ব্যবসাকে অনেক উঁচু করতে পারতেন, করেননি।বরং পাউরুটি প্রস্তুতকারকদের সংগঠন গড়ে তাঁদের সমস্যাকে উঁচিয়ে ধরেছেন, ব্যবসা থেকে নিজেকে সরিয়ে দিয়ে আরো বেশি সামাজিক হতে চেয়েছেন প্রাণবন্ত নেতা ।
জীবনের শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সভা সমিতিতে খুব বেশি তাঁকে দেখা যেত না, তবুও দলের কাজকর্ম থেকে, অর্পিত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াননি।রাজনৈতিক কোন্দল আর সংঙ্কীর্ণতাকে প্রশ্রয় দিতেন না, সবপন্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যময় সম্পর্ক বজায় রাখতেন। গুরুত্ব দিতেন দলীয় আনুগত্যকে। এসবই তাঁর জনপ্রিয়তার ভিত্তি।এরকম একজন নেতার, জীবন থেকে নিঃশব্দ বিদায়ে কাতর তাঁর গুণমুগ্ধরা। সংবাদপত্রের, রাজনৈতিক অঙ্গনের, ব্যবসায়ী মহলের নানাজনের স্মৃতি আর কথায় বারবার ফিরে আসছে ইদ্রিসের হাসিহাসি মুখ।
❤ Support Us