Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • অক্টোবর ১০, ২০২৩

“তৃণমূলের দাবির কথা কেন্দ্রর নজরে আনা হয়েছে”, রাজ্যপাল জানাতেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অভিষেকের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“তৃণমূলের দাবির কথা কেন্দ্রর নজরে আনা হয়েছে”, রাজ্যপাল জানাতেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অভিষেকের

অমিত শাহের কাছে সি ভি আনন্দ বোস পৌঁছতেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের ইতি পড়ল । একদিন আগেও রাজভবনের উত্তর গেটে যিনি ধরনায় বসেছিলেন সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। রাজ্যপাল অভিষেককে জানিয়েছেন, রাজ্যের বকেয়া সংক্রান্ত দাবি নিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তা হলে কি তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস? আর তাঁর এই কাজের গতি দেখেই কী  তাঁকে অভিনন্দিত করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? তাহলে কী বলা যায় রাজ্য-রাজ্যপাল সমীকরণ এবার সহজ-সরল হল?

কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’ নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই অভিযোগ তিনি কেন্দ্রের ‘নজরে’ এনেছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সেই চিঠি প্রাপ্তির পর মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সি ভি আনন্দ বোসের প্রতি ‘কৃতজ্ঞতা’ জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলার মানুষের কল্যাণের বিষয়টি দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।’’

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সোমবার রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দ্রুত আলোচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার পরেই সোমবার দিল্লির রওনা হন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর দফতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। ১২টা নাগাদ রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরে বেরিয়ে আসেন। সেখানে কী কথা হয়েছে, তা যদিও জানাননি বোস। এর পরেই মঙ্গলবার এক্সে অভিষেক লেখেন, ‘‘বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলার মানুষের কল্যাণের বিষয়টি দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য। ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের ২১ লক্ষ মানুষ যে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্যও তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’

তৃণমূলের তরফে “কেন্দ্রীয় বঞ্চনা”র অভিযোগ জানিয়ে দিল্লিতে গত ২ এবং ৩ অক্টোবর দু’দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। গত ৩ অক্টোবর কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যান অভিষেকরা। সঙ্গে ছিলেন ‘বঞ্চিত’ পরিবারের প্রতিনিধিরাও। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দেখা না-করেই পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান জ্যোতি। তার পরে পুলিশ কৃষি ভবন থেকে অভিষেকদের আটক করে তুলে নিয়ে যায়। এর পরেই অভিষেক ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির ডাক দেন।

কিন্তু নির্ধারিত দিনে রাজ্যপাল ছিলেন না রাজভবনে। এর পর রাজভবনের উত্তর গেটে ধর্নায় বসেন অভিষেক। পাঁচ দিন পর, সোমবার অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। আশ্বাস দেন, ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র অভিযোগ কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরবেন। বৈঠকের পরেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের আশ্বাস পেয়ে এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে ধর্না তুলে নেন অভিষেক। যদিও শর্ত দিয়ে অভিষেক জানান, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ না-করলে ফের পথে নামবে তৃণমূল। এ বার কর্মসূচি হবে মমতার নেতৃত্বে। এর পরেই রাজ্যপাল বিষয়টি কেন্দ্রের গোচরে আনার কথা চিঠি দিয়ে জানান অভিষেককে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন। এর পরেই এক্সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!