শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
শুভাপ্রসন্নর ‘পানি’, ‘দাওয়াত’ বিতর্কে এবার মুখ খুললেন কৌশিক সেন। নাট্যকার ও অভিনেতার বক্তব্য, ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ভাষার উদযাপন মুক্তির উদযাপন। কোনো ভাষাকে কোনো সঙ্কীর্ণ গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখা উচিত নয়।
২১ ফেব্রুয়ারি দেশপ্রিয় পার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মঞ্চে বাংলা শব্দভাণ্ডারে ‘সাম্প্রদায়িকতা’-র প্রবেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। উদাহরণস্বরূপ ‘পানি’ ও ‘দাওয়াত’ শব্দের বহুল ব্যবহারের উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন মঞ্চে এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। বর্ষীয়ান চিত্রকরকে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এবার খানিকটা সেই একই সুরে শিল্পীর বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর নাট্যকার কৌশিক সেন। শিল্পীর মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন ২১ ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলা নয়, সমস্ত ভাষার উদযাপনের দিন। বাংলা হয়তো তাঁর একটা কারণ, শুভা প্রসন্ন যে মন্তব্য করেছেন, তা বাংলা ভাষাকে সংকীর্ণতাদোষে দুষ্ট করবে। ভাষায় সংকীর্ণতা কাঙ্খিত নয়।
তবে, চিত্রশিল্পীর প্রতি কুণালের তির্যক কটাক্ষ নিয়েও তিনি নীরব থাকেননি। তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুণালের মন্তব্যের। তাঁর বক্তব্য, দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূলের পাশে রয়েছেন শুভা, এতটা অসম্মান তাঁর প্রাপ্য ছিল না।
বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ ও ক্রমবর্ধনশীল ভাষা। যুগের পর যুগ ধরে নিজের প্রবহমানতায় একের পর এক ভাষার প্রভাবকে আত্তীকৃত করেছে সে। বহু দেশি-বিদেশি শব্দের প্রবেশে শক্তিশালী হয়েছে বাংলা। যে শব্দ নিয়ে এত বিতর্ক , সেই ‘পানি’ মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত। বাংলা শব্দভাণ্ডারে সংস্কৃত শব্দের অভাব নেই। তৎসম শব্দের ব্যবহার ব্যাপক। আসলে প্রশাসনিক ভাষা হওয়ার দরুণ শাসকের ভাষা হিসেবে আঞ্চলিক ভাষাতেও তার প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। মুঘল যুগে তুর্কী-আরবি-ফারসির প্রভাবে একাধিক বিদেশি শব্দের প্রবেশ ঘটেছে বাংলায়। চিত্র বদলায়নি ব্রিটিশ আমলেও। আসলে শাসকের ভাষা সবসময়ই জনগণের ভাষা হয়ে উঠতে চেয়েছে। তবেই ক্ষমতার নিকটবর্তী হওয়া সম্ভব হয়। কোনো ভাষাকে যদি জনগণের ভাষা হয়ে উঠতে হয়, তাহলে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র গড়ে তোলা প্রয়োজন। ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে ভাষা হয়ে উঠুক সবার। তখন, ধর্মীয় সংকীর্ণতার বেড়াজাল হয়ে পড়বে অপ্রাসঙ্গিক।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34