- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২২, ২০২২
অরুনাচলে সীমান্ত উত্তেজনার আবহে, পশ্চিম লাদাখ নিয়ে আলোচনায় বসল ভারত চিন

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় রাখতে চায় ভারত-চিন উভয় দেশই। মঙ্গলবারের সামরিক বৈঠকে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত।
২০ ডিসেম্বর পশ্চিম লাদাখে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে পশ্চিম লাদাখে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে দুই দেশই আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের কিছু অংশ কার অধিকারে থাকবে, এনিয়ে ইন্দো চিনি বিবাদ বহুদিনের।
দুই দেশেরই সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের এই বৈঠক হয় চুসুল মল্ডে। উল্লেখ্য, এটি চিনর সীমান্তবর্তী অঞ্চল। এদিনের বৈঠক সম্পর্কে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষের মধ্যেই পশ্চিম লাদাখের সীমান্ত নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। দুপক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে পারস্পরিক আলোচনা ও বার্তালাপের মাধ্যমে পশ্চিম লাদাখের নিরাপত্তা ও সুস্থিরতা বজায় রাখতে চায়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে কেন্দ্রের মোদি সরকার সবসময় তৎপর বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রক।
🔹17th round of India-China core commander level meeting was held at Chushul Moldo on the Chinese side on Dec 20.
🔹2 sides exchanged views along LAC in western sector & held frank & in-depth discussions to work on remaining issues at earliest: @MEAIndia during media briefing pic.twitter.com/UCLx9wyOmV
— Prasar Bharati News Services & Digital Platform (@PBNS_India) December 22, 2022
২০২০ এর জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বার বার সেনা বৈঠক হয়ে আসছে। প্যাংগং হ্রদ অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সামরিক সমঝোতায় রাজি হয়েছে দুই দেশ। প্যাংগং অঞ্চলে যে কামান, বন্দুক, ক্ষেপনাস্ত্র, যুদ্ধ বিমান সহ ৫০-৬০ হাজার সেনা ২০২০ থেকে মোতায়েন আছে, তাও ধীরে ধীরে তুলে নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশ আগের বৈঠকে সম্মতি দিয়েছিল, সে প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে জুলাইয়ের ১৭ তারিখে ভারত ও চিন এই ধরণের সামরিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। তবে ডিসেম্বরের ৯ তারিখে অরুণাচলের তাওয়াং ভারত চিন সীমান্ত সংঘাতের পর এটাই লাদাখে বৈঠক প্রথম। দু দেশ সংঘাতের রাস্তা ছেড়ে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রক্ষার্থে উৎসাহী হবে তা নিয়ে আশাবাদী বিশেষজ্ঞ মহল।
❤ Support Us