- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ২৮, ২০২৩
স্থানীয় অভিযোগ, লাগাম ছাড়া পুলিশের উদাসীনতা। বিস্ফোরণ কান্ড নিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ শুরু, সাসপেন্ড নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি। উধাও আই এস এফ-র ব্লক নেতা

এবার দত্তপুকুর বোমার কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে। তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে সোমবার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রবিবার সকালে নীলগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে বাজির কারবারের আড়ালে বোমা তৈরির কাজ চলছিল। এই ঘটনায় পুলিশ উদাসীন ছিল বলে বহুবার স্থানীয়েরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও সোমবার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত আড়াই-তিন মাসের মধ্যে এই এলাকায় অনেক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার পরও এই ঘটনা ঘটেছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’
এদিকে সোমবার বিস্ফোরণস্থলে যান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, গত চার বছর আগেও এই জায়গায় বোমা বানাতে গিয়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটে। তার পরেও তৃণমূল সরকারের ঘুম ভাঙেনি। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতে তৃণমূল এসব করছে। বারুদের স্তুপে পরিণত করেছে রাজ্যটাকে।
এদিনই একটু বেলার দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দত্তপুকুর বিস্ফোরণস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সরাসরি এই বিস্ফোরণের জন্য নীলগঞ্জ ফঁড়ির আইসি ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, অবিলম্বে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির আইসিকে গ্রেফতার করতে হবে এবং খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবির পরই নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করা হল।
রবিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিস্ফোরণের ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ’ এবং ‘নিছক দুর্ঘটনা নয়’ বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল বোস। অন্য দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার নগরপালকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজ্যপুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয় এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর ছিল, মমতা ওই বৈঠকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন দুই পুলিশ প্রধানকে। এমনকি, রাজ্যে আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি যে ক্ষুব্ধ, তা-ও জানিয়েছিলেন তিনি। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কিছুটা কম হবে। কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।’’ তবে দত্তপুকুর নিয়ে কিছু বলেলনি।
❤ Support Us