- এই মুহূর্তে স | হ | জ | পা | ঠ
- মে ১৫, ২০২৩
সমুদ্রগর্ভে ৭৪ দিন কাটিয়ে অধ্যাপকের বিরল নজির

জলের তলায় টানা ৭৪ দিন ! অবিশ্বাস্য হলেও, এমন কাণ্ড ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। নাম জোসেফ ডিটুরি। বর্তমানে জুলস আন্ডার সি লজে রয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ১০০ দিন সমুদ্রগর্ভে জীবনযাপনে ব্যয় করতে চান। ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে তাঁর সমুদ্রের গভীরে বাস। সমাপ্তি ৯ জুন।
জোসেফ জীববিদ্যার অধ্যাপক। নিজের গবেষণার জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে সাগরতলের জীবনকে আপাতত বেছে নিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে নিজের পোষ্টে তিনি জানিয়েছেন, জলের তলায় জগতটা কীরকম সে সম্পর্কে আজকের প্রজন্মের তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীরা যাতে আগ্রহী হয়ে ওঠে সে কারণেই তাঁর এ অভাবনীয় প্রচেষ্টা । তার আর একটি যে কারণে তিনি এ দুঃসাহসিক অভিযানে লিপ্ত হয়েছেন তা হল, চরম প্রতিকূল পরিবেশ মানব শরীরের ওপর কোন ধরনের প্রভাব ফেলে তা লক্ষ্য করা। তিনি বলেছেন, ৭৩ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তার গবেষণা মূলক কাজ এখনও শেষ হয়নি। আগামী দিনে বয়স নির্বিশেষে আরো অনেক পড়ুয়াদের তিনি এ প্রকল্পে সংযুক্ত করতে আগ্রহী।
পরিসংখ্যান ঘেঁটে জানা গেছে, এর আগে দুজন অধ্যাপক ৭৩ দিন জলে সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় নিভৃত যাপনের নজির ইতিপূর্বে কারোর নেই। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, গত ৭৩ দিন ধরে তিনি সমুদ্রতল থেকে ৩০ ফুট নীচে , ১০০ ফুট আয়তনের একটি কামরার মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন। মূলত মানবশরীর প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে কীকরে মোকাবিলা করে এটা জানতে চাওয়া তার অন্যতম লক্ষ্য। যে কারণে তাকে সবসময় কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অধ্যাপককে বলা হয়েছে নিজের রক্ত ও মূত্রের নমুনা যেন নিয়মিত তিনি সরবরাহ করেন। যাতে তা বিশ্লেষণ করে তার বর্তমান স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। শুধু শারীরিক নয়, এত দীর্ঘ দিন জলের তলায় একাকী, পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। যা অবশ্যই যাচাই করা দরকার। সে কারণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জোসেফ অবশ্য জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন জলের প্রবল চাপের মধ্যে থেকে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছ। আর তিনি সমুদ্র তলদেশে সবথেকে বেশি যার অভাব বোধ করে তা হল সূর্য কিরণ। সমস্ত কষ্ট, প্রতিকূলতাকে হাসিমুখে দূরে ঠেলে দিয়ে আবিষ্কারের নেশায় এগিয়ে চলা দুঃসাহসিক এক অভিযাত্রী।
❤ Support Us