- এই মুহূর্তে স | হ | জ | পা | ঠ
- জুন ৮, ২০২৪
শনিতে পৃথিবীর কাছাকাছি ৯৯ ফুটের গ্রহাণু । নীল গ্রহে অভিঘাত নিয়ে কী বললেন বিজ্ঞানীরা ?

2024 KA1 নামের একটি ৯৯ ফুট প্রশস্ত গ্রহাণু শনিবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে চলেছে। এটি ২৯,৯৬১ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ভ্রমণ করছে এবং ভারতীয় সময়ে বিকেল ৪ টে ৩৬ এ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে।
নাসার সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস) অনুসারে, গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ১.৮মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে আসবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের দিক থেকে এই দূরত্বটি যথেষ্ট নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে।
2024 KA1 গ্রহাণুকে অ্যাপোলো গ্রুপের মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এই গ্রুপটি বিশেষ করে গ্রহাণুদের সম্বন্ধে গবেষণা করার জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে । বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশাল আকার সত্ত্বেও, পৃথিবীর কোনও ক্ষতি হবেনা। অর্থাৎ এই গ্রহাণু থেকে পৃথিবী সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত।
পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তু মানেই সব ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। যাইহোক, সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু বা পোটেনশিয়ালি হ্যাজারডাস আস্টেরয়েডস (PHAs) নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে গ্রহাণুর আকার , পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে তার দুরত্ব, এ সবকিছু বিবেচনা করে দেখা হয়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা এবং গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব অবজারভেটরি (যেমন প্যান-স্টারস এবং ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে)-র পেশাদার ও শিক্ষানবিস জ্যোতির্বিজ্ঞানীসহ সবাই সম্ভাব্য বিপদের সন্ধানে নিয়ার আর্থ অবজেক্ট (NEO) গুলিকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করেন। তার থেকে সংগৃহীত ডেটা 2024 KA1 এর মতো গ্রহাণুর রুট ট্র্যাক করতে সহায়তা করে । নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL)-এর গোল্ডস্টোন সোলার সিস্টেম প্রকল্পগুলিও পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তু সমূহের গঠন ও গতিবিধিতে নজর রেখে চলে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে, পৃথিবী সঙ্গে মুখোমুখি হতে চলেছে বেশ কটি গ্রহাণু । 2024 KA1 এর পর , গ্রহাণু 2024 LC,যার আকৃতি প্রায় ৮৪ ফুট , প্রায় ৪,৭০৩,১৬ কিমি দূরত্বে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে।
তারপর, ১১ জুন, ২০২৪-এ, আরও দুটি গ্রহাণু তাদের পরস্পরের কাছাকাছি আসবে। গ্রহাণু ২০২৪ LD, প্রায় ৬৭ ফুট পরিমাপ, পৃথিবীর আনুমানিক ৪,৬৩৫,৫৫২ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে যাবে ও গ্রহাণু 2024 CR9, যার আনুমানিক আকার ১,৪০০ফুট, আমাদের গ্রহের প্রায় ৭,৩৭১,৫২০ কিলোমিটারের মধ্যে আসবে৷ এত বেশি সংখ্যক গ্রহাণুদের যাতায়াতে অবশ্য পৃথিবীতে কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ।
❤ Support Us