- এই মুহূর্তে দে । শ
- মার্চ ২৭, ২০২৫
মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, ফল প্রকাশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে

২০২৩ সালের মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য ফল প্রকাশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। পরবর্তী শুনানি ১ মে।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পিছু ছাড়ছে না রাজ্য সরকারের। এসএসটি, টেটের পর এবার মাদ্রাসা স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, মামলার শুনানিতে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত, এ নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না। আগামী ১ মে, এ মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন উভয় পক্ষের সমস্ত বক্তব্য শোনা হবে।
২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কয়েক লাখ পরীক্ষার্থীরা আবেদন করে। সেই অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়। কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে, প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কিছু প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়েছে, যা কমিশনের নিয়মের পরিপন্থী। এছাড়াও মামলাকারীদের আরো অভিযোগ, এই পুরো প্রক্রিয়ায় স্বজনপোষণ ও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের উপেক্ষা করে, অনৈতিক উপায়ে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিচার চেয়ে মামলাকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হন।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা আদালতের রায়ের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল এবং তাঁরা সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলবেন। অন্যদিকে, মামলাকারীদের দাবি, এই স্থগিতাদেশ ন্যায়বিচারের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। তাঁরা আশা করছেন, আদালতের চূড়ান্ত রায়ে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরাই সুবিচার পাবেন। এ ঘটনায় রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষা মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির কথা সামনে আসতে আশঙ্কা ও উদ্বেগে রয়েছেন বাংলার কয়েক লক্ষ ‘শিক্ষিত বেকার’।
❤ Support Us