Advertisement
  • দে । শ
  • মার্চ ১৮, ২০২৩

পুতিনের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ, গ্রেফতারের নির্দেশ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের।উচ্ছ্বসিত জেলেনেস্কি, বাইডেন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পুতিনের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ, গ্রেফতারের নির্দেশ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের।উচ্ছ্বসিত জেলেনেস্কি, বাইডেন

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত । রুশ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অপরাধমূলক কাজে তিনি যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন থেকে বেআইনি পাচারের জন্য রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা লভোভা-বেলোভাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে হেগ।

শুক্রবার পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সুইজারল্যাণ্ডের আন্তর্জাতিক আদালত। বিচারপতিরা তাঁদের রায় ঘোষণার সময় জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে শিশুদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে রুশ সেনা। এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। ছাড় দেওয়া হয়নি রুশ শিশু অধিকার চেয়ারপার্সন মারিয়া আলেক্সিয়েভনা লভোভা-বেলোভাকে। তাঁর বিরুদ্ধেও অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অফ জাস্টিস। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথমে এব্যাপারে গোপনীয়তা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে প্রকাশ্যে আদালতের রায় জানানো প্রয়োজন।

মস্কো অবশ্য আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের কথায় রাশিয়া আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়, তাই এ সিদ্ধান্ত তাঁদের কাছে গুরুত্বহীন। বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মারিয়া জ়াখারোভা বলেছেন, রাশিয়া এই আদালতের বিচারের আওতায় পড়ে না। তাই আদালত কী বলল, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।

স্বভাবতই আদালতের নির্দেশে খুশি ইউক্রেন। দেশের প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অফ স্টাফ আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এতো সবে শুরু হল। আরও অনেক কিছু আসা এখনও বাকি রয়েছে। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে মিত্র আমেরিকা । বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি যুদ্ধপরাধের মোকাবিলায় সঠিক এবং দৃঢ় পদক্ষেপ করেছে। কোনও সন্দেহ নেই ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় পুতিনের ভূমিকা রয়েছে।

বস্তুত, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। রাশিয়ার কিয়েভ অভিযানের মূল কারণ ছিল রুশ সীমান্তে ন্যাটোর সেনা সমাবেশ আটকানো। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমি শক্তিবর্গের সঙ্গে মিত্রতা বাড়িয়ে চলেছিল কিয়েভ প্রশাসন। যা কখনোই মেনে নেয়নি মস্কো। নিজের নিরাপত্তার জন্যই  তাঁদের এ অবস্থান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে রাশিয়াকে  যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা  করবার দাবি জানিয়ে আসছিল।  আন্তর্জাতিক আদালতের রায় তাঁদের দাবিকে স্বীকৃতি দিল। তাই সদস্য না  হওয়া সত্ত্বেও সিদ্ধান্তকে  স্বাগত জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।রাশিয়ার কাছে  বিষয়টি গুরুত্বহীন। কিন্তু আগামী দিনে ভারত, চিন, বেলারুশ সহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্ক এ সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে,জানাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!