- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
কিউয়িদের স্বপ্ন ভেঙে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইতিহাস বাংলাদেশের
প্রথম দুটি একদিনের ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই পকেটে ভরে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সিরিজের শেষ ম্যাচ কিউয়িদের কাছে ছিল রেকর্ড স্পর্শ করার। ঘরের মাঠে টানা ১৮টি ম্যাচ জেতার রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। শনিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতলেই সেই রেকর্ডে ভাগ বসাত নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের সামনে ছিল রেকর্ড বদলানোর। আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলা ১৮টি ম্যাচে সবকটাতেই হেরেছিল। এদিন জয়ের খোঁজে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। জোরে বোলারদের দাপটে ইতিহাস গড়ে জয় বেঙ্গল টাইগারদের।
নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কের উইকেট জোরে বোলারদের স্বর্গ। গতি, বাউন্স, সুইং, কী নেই উইকেটে! এই রকম বাইশ গজ দেখলে জোরে বোলারদের জিভ লকলক করবেই। তাই টস জিতে জোরে বোলারদের হাতে বল তুলে দিতে বিন্দুমাত্র ভাবেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁর সেই সিদ্ধান্তেই বাজিমাত। শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসানের আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি কিউয়ি ব্যাটাররা। ৩১.৪ ওভারে মাত্র ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ২০০৭ সালের পর দেশের মাঠে এটাই সর্বনিম্ন স্কোর নিউজিল্যান্ডের। মাত্র ১৫.১ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে সেই রান টপকে যায় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে (৮) চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন তানজিম হাসান। এরপর অস্টম ওভারে হেনরি নিকোলসকেও (১) তুলে নেন। বাংলাদেশ জোরে বোলারদের দাপটে রান তোলাই কঠিন হয়ে পড়েছিল কিউয়ি ব্যাটারদের কাছে। উইল ইয়ং ও টম লাথাম জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন। লাথামকে (২১) তুলে নিয়ে শরিফুল জুটি ভাঙতেই ধস নামে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে। সর্বোচ্চ রান করেন উইল ইয়ং (২৬)। তানজিম হাসান ১৪ রানে, শরিফুল ইসলাম ২২ রানে ও সৌম্য সরকার ১৮ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ ব্যাটারদের অবশ্য সমস্যায় ফেলতে পারেননি অ্যাডাম মিলনে, জেকব ডাফি, জশ ক্লার্কসনরা। চোখের সমস্যার জন্য বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি সৌম্য সরকার। ১৬ বলে মাত্র ৪ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান এনামুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের ৮৪ রানের মাথায় আউট হন আউট হন এনামুল হল। ৩৩ বলে তিনি করেন ৩৭। ৪২ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ে এনে দেন নাজুমল।
❤ Support Us