Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ১, ২০২৪

বসিরহাটে বামপ্রার্থী নিয়ে টানাপোড়েন, দ্বিধায় কর্মীরা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বসিরহাটে বামপ্রার্থী নিয়ে টানাপোড়েন, দ্বিধায় কর্মীরা

এখনও টানাপোড়েন চলছে। তার মঝে পড়ে ১৮ নম্বর বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে জেলা নেতা থেকে শুরু করে মাঝের তলা, নিচু তলার বাম কংগ্রেস শিবির চরম হতাশায় ডুবেছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন নাম ঘোষনা হয়নি বাম প্রার্থীর।  তৃণমূল, বিজেপির সঙ্গে যুঝবে এমন প্রার্থী বেছে উঠতে পারেনি বামেরা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলেও বসিরহাট কেন্দ্র বামেরাই লড়বে এটা সিদ্ধান্ত। কিন্তু আসনটি নিয়ে সিপিএম–‌ সিপিআই–‌র প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কোন দলের প্রার্থী হবে। কেননা বসিরহাট কেন্দ্রটি বরাবরই বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক সিপিআই –‌র জন্য বরাদ্দ। রেণু চক্রবর্তী, ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, মনোরঞ্জন শূর, অজয় চক্রবর্তীরা কাস্তে ধানের শিষের সাংসদ হয়েছিলেন বসিরহাট থেকেই। এখন সেখানেই সিপিআই দুর্বল।

বসিরহাট কেন্দ্র দাবি করেছে সিপিএম। কংগ্রেসও জানিয়ে দিয়েছে সিপিএমকে ছাড়া হোক বসিরহাট। কংগ্রেসের সাফ কথা সিপিএম হলে আছি, সিপিআই হলে অন্য কিছু ভাবব। আবার জোটের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে  আইএসএফ  বসিরহাট কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে পেশায় শিক্ষক সহিদুল ইসলাম মোল্লাকে। ফলে বাম প্রার্থী ঘোষণা হলে ভোটের মেরুকরণ পাল্টে যাবে। গত লোকসভায় সিপিআই প্রার্থী পল্লব সেনগুপ্ত ৬৮,৩১৬ ভোট পেয়ে জামানত খুইয়েছিলেন। সিপিআই প্রার্থী হলে সেক্ষেত্রে সিপিএমের সংগঠনের ওপর দাঁড়িয়েই তাকে লড়তে হবে। সিপিএমের নিচু তলার কর্মীরা তাতে নারাজ। রাজ্যে ক্ষমতা চলে যাবার পর বামফ্রন্টের সেই বাঁধুনি নেই। ভোটের অঙ্ক বলে দিচ্ছে  সিপিএমের হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে ঢলেছে । এবার সংখ্যালঘু ভোট কোন দিকে ? সেক্ষেত্রে তাদের সামনে রয়েছে তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম এবং আইএসএফের সহিদুল ইসলাম। সিপিএমের হিন্দু ও মুসলিম  ভোট নিজেদের দিকে ধরে রাখতে তো বটেই বাম ভোটকে সন্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যেতে বসিরহাট আসনটির দাবির যৌক্তকতা আছে। সিপিএম সূত্রের খবর, সিপিআই আসনটি ছাড়তে রাজি আছে। তবে শর্ত সাপেক্ষে। সেটাই এখন আলোচনার স্তরে র‌য়েছে। কংগ্রেসের এক সূত্র জানাচ্ছে, প্রার্থী বাছাই নিয়ে  বামেরা বেশি টালবাহানা করে বিলম্ব ঘটিয়ে বিজেপির সুবিধে করে দেবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!