- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ১, ২০২৪
শাজাহান কান্ডের ক্ষত ঢাকতে মরিয়া নুরুল।বসিরহাটে বাম প্রার্থী কে ? ধর্মীয় মেরুকরণের অঙ্ক মেলাতে তৎপর সব শিবির

এক শাজাহান কান্ডের জেরে সন্দেশখালি ইস্যুতেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র এখন বলতে গেলে গোটা দেশে যেন চর্চার বিষয় । এ যাবৎকাল যত নির্বাচন হয়েছে তাতে বসিরহাট নিয়ে ভোটে এত আলোচনা, অঙ্ক কষাকষি হয়নি। তার ওপর খোদ নরেন্দ্র মোদির পছন্দের ‘শক্তি স্বরূপা’ রেখা পাত্রকে বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করায় ভোট জল্পনায় আরও রসদ জুগিয়েছে। ব্রিগেড থেকে তৃণমূল বসিরহাট কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে হাজি নুরুলের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তৃণমূল শিবির অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। তার কারণ গত লোকসভায় এই কেন্দ্রে রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন তারকা প্রার্থী নুসরত জাহান। নুসরতের ব্যবধান ছিল ৩,৫০,৩৬৯ ভোট। কিন্তু গত ৫ বছরে বসিরহাটকে অনেকটা হতাশ করেছেন তারকা সাংসদ। এক নেতার কথায়, ‘বসিরহাটকে ঘেঁটে দিয়ে গেছেন নুসরত।
সেই জায়গায় হাজি নুরুলকে প্রার্থী করায় দলের কর্মীরা অক্সিজেন পেয়েছেন এই ভেবে অন্তত হাজি নুরুলকে মানুষের কাছে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না।’ হাজি নুরুল ইসলাম বসিরহাট কেন্দ্রে পরিচিত মুখ। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাংসদ ছিলেন, এখন হাড়োয়ার বিধায়ক তিনি, সেইসঙ্গে তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ।সন্দেশখালির সাম্প্রতিক ঘটনা তৃণমূলকে অনেকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। সন্দেশখালি বসিরহাট কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। গত লোকসভায় সন্দেশখালি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ১,০৩,৬০০। বিজেপির ছিল ৭৬, ৬৮৮ ভোট। এবারে বিজেপির প্রার্থী কন্যা রেখা পাত্র সন্দেশখালির আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ। তাঁকে তুলে ধরে বিজেপি বোঝাতে চাইছে তারা কতটা দলিত দরদী। আদিবাসী এবং তপশিলি সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতে বিজেপি আসরে নেমে পড়েছে। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রেখার ফোনে কথপোকথনকে সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে বোঝাতে চাইছে রেখা হল নরেন্দ্র মোদির পছন্দের প্রার্থী।
একেবারে শেষ দফায় ভোট বসিরহাট কেন্দ্রে। ফলে পাকা ২ মাস হাতে রয়েছে। হাজি নুরুলের জনসংযোগ, এবং সাংগঠনিক দক্ষতা তৃণমূলকে এক জায়গায় করে ফেলেছে। সন্দেশখালি, বসিরহাট দক্ষিণের টাকি ও বসিরহাট পুর এলাকা, হিঙ্গলগঞ্জ ছাড়া অন্যান্য বিধানসভা এলাকা নিয়ে তৃণমূল আত্মবিশ্বাসী । বামেরা এখনও প্রার্থী বেছে উঠতে পারেনি। স্বাধীনতার পর থেকে সিপিআই–র জন্য বরাদ্দ বসিরহাটে এখন সিপিআই–র পার্টি অফিস খোলার লোক নেই। শোনা যাচ্ছে বসিরহাট কেন্দ্র দাবি করেছে সিপিএম। কংগ্রেসের তাতে সায়। কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে সিপিএম হলে আছি। সিপিআই হলে অন্য কিছু ভাবব। তৃণমূল আই এস এফ প্রার্থী পেশায় শিক্ষক সহিদুল ইসলাম মোল্লাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তৃণমূল একটা অঙ্ক মাথা রেখে এগোচ্ছে বামেদের হিন্দু ভোট ও সংখ্যালঘু ভোটের মেরুকরণ কী হবে?
❤ Support Us