Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • জুন ১৯, ২০২৪

খালিস্তানপন্থী নেতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন কানাডা সংসদের, ‘মুখোশ’ কি খুলে গেল ট্রুডো প্রশাসনের!

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
খালিস্তানপন্থী নেতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন কানাডা সংসদের, ‘মুখোশ’ কি খুলে গেল ট্রুডো প্রশাসনের!

জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসন যে তলে তলে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থকদের সমর্থন করে তার অভিযোগ ছিলই।সম্ভবত এবার তাতে শিলমোহর পড়তে চলেছে। কানাডার সংসদে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে নীরবতা পালন করলেন সে দেশের সাংসদেরা। স্বাভাবিকভাবে এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
গত বছর ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান খালিস্তান টাইগার ফোর্স সংগঠনের প্রধান নিজ্জর। ভারত সরকারের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম রূপে ছিল নিজ্জরের নাম। কানাডার সংসদ হাউস অফ কমন্সে স্পিকার গ্রেগ ফোগর্স তাঁর উদ্দেশে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন । উপস্থিত সাংসদদের এক মিনিট নীরবতা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলত ট্রুডো সরকারের জঙ্গি দমন নীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রকৃত অভিসন্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে ।

গত কয়েক বছরে কানাডার মাটিতে এক নাগাড়ে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়েছে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। প্রকাশ্যে মিছিল বের করা, গান্ধি মূর্তি ভেঙে ফেলার মতো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। ভারতের তরফ থেকে একাধিকবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি গেলেও তাতে কর্ণপাত করেননি ট্রুডো। উল্টে নিজ্জরের হত্যার পিছনে ভারতের হাত আছে এমন অভিযোগ করেন তিনি। ভারত যদিও ট্রুডোর প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি’র তোপ দেগেছে। ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
হরদীপ সিং নিজ্জর পাঞ্জাবের জলন্ধরের পুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৭ সাল থেকে কাজের সন্ধানে কানাডায় পাড়ি দেন তিনি। প্রথমে মিস্ত্রির কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে ভারত সরকার। এহেন খালিস্তানপন্থীদের কানাডা প্রশাসন জামাই আদরে রেখেছে বলে বরাবরই দাবি করে এসেছে ভারত। সংসদে ‘নীরবতা পালন’ সে জল্পনা উস্কে দিল কি?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!