- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
জয়নগরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও হত্যার বিচারে সাজা ঘোষণা ৬২ দিনে

নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনার ৬২ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা। দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বারুইপুর জেলা এবং দায়রা আদালতের অধীন থাকা পকসো কোর্ট। এই ধরণের মামলায় এত দ্রুত সাজা ঘোষণা রাজ্যে নজিরবিহীন। আর এত দ্রুত মামলার নিস্পত্তি হওয়ায় পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন রাজয়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
অক্টোবরে জয়নগরের মহিষমারি এলাকার জলাভূমি থেকে ৯ বছরের এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টিউশন থেকে ফেরার সময় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিপীড়ন পর খুন করা হয়। নাবালিকা ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্থানীয় মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় স্থানীয়রা। ফাঁড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা করে মহিলারা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। যৌন নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় মুস্তাকিনকে। ৭ অক্টোবর ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল ৩ মাসের মধ্যে যাতে দোষীর শাস্তি হয়। সিট গঠনের ২৫ দিনের মাথায় ৩০ অক্টোবর চার্জশিট পেশ করা হয়। ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আজ, ৬ অক্টোবর ফাঁসির সাজা ঘোষণা হল।
The accused in the case involving the brutal rape and murder of a minor girl in Joynagar on 4.10.24 has been sentenced to death today by the POCSO court at Baruipur just within 62 days of the ghastly incident. Conviction and capital punishment in such a case in just over two…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 6, 2024
সাজা ঘোষণার পরপরই এক্স–হ্যান্ডেলে মমতা ব্যানার্জি লেখেন, ‘৪.১০.২৪ তারিখে জয়নগরে এক নাবালিকা মেয়েকে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত মামলার অভিযুক্তকে আজ বারুইপুরের পকসো আদালত ঘটনার মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। মাত্র ২ মাসের মধ্যে এইরকম একটা মামলার নিস্পত্তি, অভিযুক্তর দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন। অসামান্য কৃতিত্বের জন্য রাজ্য পুলিশ ও তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকা সকলকে অভিনন্দন জানাই। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতি সরকারের জিরো টলারেন্স রয়েছে এবং ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত বা অস্বীকৃত না হয় তা নিশ্চিত করতে থাকবে।’
রাজ্যের তদন্তের ইতিহাসে জয়নগর মামলার তদন্ত ও বিচারকে ‘নজিরবিহীন’ বলে দাবি করছে পুলিশও। ফেসবুক লাইভ করে রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বুঝিয়ে দিয়েছেন কোন প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট খাড়া করা হয়েছে। ‘
❤ Support Us