- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- অক্টোবর ৮, ২০২৫
শাহ-মোদি জুটিকে বিঁধে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা, কী বললেন তৃণমূল নেত্রী ?
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদি-শাহ জুটির নিরঙ্কুশ দাপটের মধ্যেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সতর্ক করে বলেন, “অমিত শাহকে সবসময় বিশ্বাস করবেন না, তিনি একদিন বড় মীরজাফর হয়ে উঠতে পারেন।”
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার, বিশেষ করে অমিত শাহকে নিশানা করেন। SIR (Special Summary Revision)-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
বিহারের পরে এখন পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার নিরীক্ষণ ও সংশোধনের কাজ। নির্বাচন কমিশনের তরফে ১১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন,
“মিটিং করে ওদের নেতা বলেন বাংলায় কয়েক লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে। বিপর্যয়, বর্ষণ, উৎসবের মধ্যে এসব করছে ! কমিশন কি বিজেপির অঙ্গসংগঠন ? না কি নাগরিক অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থা ?”
তিনি এই প্রক্রিয়ার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেন এবং বলেন, “গোটাটাই অমিত শাহের খেলা। উনি ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর মতো কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী সব জানেন। আমি ওঁকে (মোদিকে) শুধু অনুরোধ করতে পারি— সবসময় অমিত শাহকে বিশ্বাস করবেন না। উনি একদিন আপনার বড় মীরজাফর হয়ে যাবেন। সময় থাকতে সাবধান হন।”
ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রতিনিধিদলের উপর হামলা এবং দলীয় কার্যালয়ে আক্রমণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন মমতা। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক ওডিশার সাম্প্রদায়িক অশান্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বিজেপিকে দোষারোপ করে বলেন, “ওড়িশা জ্বলছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটিয়েছে বিজেপি নিজে— বজরং দল ইত্যাদির মাধ্যমে। এই দল দেশটাকে শেষ করে দেবে। অনেক সরকার দেখেছি, কিন্তু এত অহংকারী ও স্বৈরাচারী সরকার দেখিনি।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। আজ যারা ক্ষমতায় আছে, কাল নাও থাকতে পারে।”
উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, “বাংলার বন্যার জন্য বাজেটে এক টাকাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। অথচ নির্বাচনের সময় আসলে বিজেপি নেতারা এসে বড় বড় কথা বলেন।”
এছাড়াও উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের সময় বিমানের ভাড়া হঠাৎ করে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তুলনায় বিহারে ছটপুজোর সময় ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর অভিযোগ, “এটা স্পষ্ট বিমাতৃসুলভ আচরণ। বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃত বৈষম্য করছে।”
❤ Support Us






