শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
আসন্ন সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদি সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল আনলে সেই বিলে সমর্থন করবে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি। তবে এই মহিলা বিল নিয়ে বিরোধী শিবিরে বিভাজন তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। কারণ এসপি, আরজেডি-র মতো দলগুলি নীতিগত ভাবে মহিলা সংরক্ষণের পক্ষে হলেও তারা মহিলা আসনগুলির মধ্যে তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষণ চায়।
দেশে যখন ইউপিএ সরকার তখন লোকসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সুনিশ্চিত করতে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনা হয়েছিল। রাজ্যসভায় সেই বিল পাশ হলেও লালুপ্রসাদ, মুলায়ম যাদবদের আপত্তিতে লোকসভায় সেই বিল পাশ করানো যায়নি। মহিলা বিল ইস্যুতে বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে এসপি, আরজেডি ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল। নরেন্দ্র মোদি সরকার ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর হঠাৎ সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেওয়ায় এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করাতে পারে।
জয়পুরে সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে সংসদে, বিধানসভায় মহিলাদের যথোচিত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। সেই দিনের আর বেশি দেরি নেই। তার পরেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল আসার সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে। বিজেপি শিবির মনে করছে, মহিলা সংরক্ষণের ব্যবস্থা হলে নরেন্দ্র মোদির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক মজবুত হবে। বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হবে। আদানি-কাণ্ড, চিনের জমি দখল, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় থেকে নজর ঘুরে যাবে। লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগে মোদি সরকারের পক্ষে সহজেই বিল পাশ করিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। মোদি সরকার অবশ্য এখনও সংসদের বিশেষ অধিবেশনের কার্যসূচি ঘোষণা করেনি। তবে সংসদের গত অধিবেশনে আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রশ্নের উত্তরে বলে রেখেছিলেন, মহিলা সংরক্ষণের জন্য সব দলের মধ্যে ঐকমত্য ও গভীর বিবেচনা দরকার।
এদিকে মোদি সরকার তথা বিজেপি যাতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মহিলা সংরক্ষণের কৃতিত্ব পুরোপুরি নিজের ঝুলিতে নিয়ে নিতে না পারে, তার জন্য কংগ্রেস, তৃণমূল আগেভাগেই মাঠে নেমে পড়েছে। লোকসভায় কংগ্রেসের সচেতক মাণিকম টেগোর এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সনিয়া গান্ধি বরাবর মহিলা সংরক্ষণের পক্ষে সরব হয়েছেন। ইউপিএ সরকারের আমলেই মহিলা সংরক্ষণ বিল রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল। সংখ্যা না থাকায় আমরা লোকসভায় সেই বিল পাশ করাতে পারিনি। বিজেপি বিল আনলে আমরা এবং ইন্ডিয়া-র দলগুলি তাতে সমর্থন জানাবে।’’
একই ইস্যুতে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘তৃণমূলের সাংসদদের মধ্যে এখনই ৩০ শতাংশের বেশি মহিলা। তার জন্য মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রয়োজন পড়েনি। বিজেপির সাংসদদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ মহিলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে প্রথম থেকেই সামনের সারিতে রয়েছেন।’’
এই প্রসঙ্গে আরজেডি-র রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, ‘‘মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের মধ্যে তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ প্রয়োজন। তা হলেই গণতন্ত্রের শিকড় গভীরে যাবে।’’ আর, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বক্তব্য, ‘‘আমার ধারণা, মোদি সরকার বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনবে না। আনলে আমরা নিশ্চয়ই সমর্থন করব।’’
আসলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সর্বজনীন সব বিষয়ে শাসক দল বিজেপি ও এনডিএ জোটের মতো ইন্ডিয়া জোটের দলের নেতারাও সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে চাইছে। ইন্ডিয়া জোট কোনও ভাবেই চাইছে না জাতীয় এবং স্বার্থ জড়িত বিষয়গুলিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার সব লাভ নিজেদের দিকে টেনে নেয়। তাই কংগ্রেস ও তৃণমূল ঠিক করেছে সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে যদি মহিলা বিল আসে, তাহলে তাকে সমর্থন তারা করবে।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34