কর্মসংস্থান নিয়ে রা নেই মোদি-মমতার, আয় কমছে মানুষের। হুগলির প্রচার সভায় সরব বৃন্দা

বৃহস্পতিবার, হুগলীর বলাগড়ে নির্বাচনী প্রচার করলেন সিপিআইএম পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্যা বৃন্দা কারাত। হুগলীর বামপ্রার্থী মনোদীপ ঘোষের সমর্থনে করলেন প্রচার। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বলাগড় বিধানসভার  শ্রীপুর পঞ্চায়েতের মন্দিরতলা  থেকে এক পদযাত্রা শুরু হয়, যা শেষ হয় জিরাট বাসস্ট্যান্ডে। এদিন এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ, অতনু ঘোষ, বিকাশ হেমব্রম, রামকৃষ্ণ রায় চৌধুরী, পরিতোষ ঘোষ সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব।

পদযাত্রা শেষে জিরাট বাসস্ট্যান্ডের জনসভায় তিনি বলেন,’চার দফাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে আগামী দিনে মোদী আর ক্ষমতায় আসছেন না। টায়ার পাংচার হয়ে গেছে বিজেপির। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ভয়ঙ্কর সেটিং চলছে যা এই রাজ্য ও দেশের  পক্ষে ক্ষতিকর। দেশ বাঁচানোর জন্য, নিজেদের অধিকার বাঁচানোর জন্য ভোট দিন হুগলীর সিপিআই(এম) প্রার্থী মনোদীপ ঘোষকে ।’

বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ করে তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে বিজেপি ধর্মীয় রাজনীতি করতে গিয়েছিল, যেহেতু ওখানকার সবচেয়ে বড় অপরাধীর নাম শেখ শাহজাহান। কিন্তু উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা এদের নাম কেন কম উল্লেখ করা হচ্ছে?’ তাঁর আগাগোড়া ভাষণের সিংহভাগ ছিল বাংলায়। তিনি বলেন ‘এখানে আসার আগে চোখে পড়েছে অনেক ছোট ছোট দোকান। কিন্তু সেখানে খদ্দের কোথায়? কিনবে কে? এই রাজ্যে তো চাকরি নেই। রাজ্যের ছেলেমেয়েরা কাজের জন্য অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে।’মোদি সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বলেন , ‘একজন দেশে আর আরেকজন রাজ্যে লুট চালাচ্ছেন। গত ১০ বছরে মহিলাদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। কিন্তু সেই দোষীরা শাস্তি পায়নি।’

এদিন বৃন্দা কারাতের গলায় শোনা গেল রাজনৈতিক আশার ঝলক। তিনি বললেন, ‘ এইবারে সারা দেশে হাওয়া ঘুরবে। চারিদিকে শুধু বাম ছাড়া আর কিছুই শুনতে পাচ্ছিনা।’ পাশাপাশি রাজ্যে লাগাম ছাড়া বিদ্যুত বিল, লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বিষোদ্গার করেন পলিট ব্যুরোর সদস্যা বৃন্দা কারাত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন,’আপনি বলেছেন , অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার দলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়া যাবেনা ! আপনার ক্ষমতা নেই লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার। মানুষ তা নেবেও, আর ভোট আপনাকে নয়, আমাদের দেবে। ‘