- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ৩, ২০২৩
পিতৃহত্যার বিচার চাই।রাজ্যপালের পা জড়িয়ে, আর্জি বাসন্তীর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী মানোয়ারার
ফাইল চিত্র
মানোয়ারা পিয়াদা বাসন্তীর কাঠালবেরিয়ার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এবারের প্রার্থী। কিন্তু তাঁর যে তৃণমূলে ভরসা নেই সেটা এবার কার্যক্ষেত্রে তিনি নিজেই প্রমাণ করলেন। ৪৮ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় হল তাঁর বাবা যুব তৃণমূল মেতা জিয়ারুল মোল্লা মাদার তৃণমূলের হাতে খুন হয়েছেন বলে মানোয়ারা পিয়াদার দাবি। সোমবার রাজ্যপাল তাঁর বাড়ির দরজা পর্যন্ত পৌঁছেও পুলিশি ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের অসহযোগিতায় পৌঁছতে পদরেননি। অবশেষে রাজ্যপালের ডাকে তিনি ক্যানিং সেচ দফতরের গেস্ট হাউসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন। শেষমেশ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালের পা জড়িয়ে ধরে মানোয়ারা পিয়াদা তাঁর বাবা জিয়ারুল মোল্লার খুনের বিচার চাইলেন। রাজ্যপাল মানোয়ারা পিয়াদাকে বিচারের আশ্বাস দিলেন।
সোমবার রাজ্যপাল তাঁর বাড়িতে দেখা করতে এসে দেখা করতে না পেরে ফিরে যান। তারপর রাজ্যপালের ডাক পেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাতে মোটর বাইকে করে ক্যানিং রওনা হন বাসন্তীর নিহত তৃণমূল যুব নেতার মেয়ে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান। বাসন্তীর বাড়ি থেকে তাঁরা রওনা দেন ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোয়। সেখানেই তাৃদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাজ্যপাল। দুপুরে সেখানে পৌঁছে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে মানোয়ারা পিয়াদা । মানোয়ারা পিয়াদা পুলিশ প্রশাসন এবং দলের একাংশের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার ঠিক আগে ওই তৃণমূল প্রার্থী জানান, তিনি নিজেও ভয়ে-আতঙ্কে আছেন। তিনি বাবার মৃত্যুর সুবিচার চাইবেন রাজ্যপালের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘আার বাবার মৃত্যুর সুবিচার যেন পাইয়ে দেন রাজ্যপাল। বাবার খুনের ঘটনার পরব ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি, দলের কেউ তাঁকে একটা ফোন পর্যন্ত করেনি। আমি এসব রাজ্যপালকে জানাব। আমার নিজেরও প্রাণ হারানোর আশঙ্কা আছে।’’
মানোয়ারা পিয়াদা আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমার বাবা যুব তৃণমূস করত। মাদার তৃণমূলের লোক বাবাকে চাপ দিত। বাবা রাজনীতিও ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। আমাকেও বলেছিল, রাজনীতি থেকে সরে আসতে। আমার স্বামী আমায় বলেছিল, রাজনীতিতে ওরকম হুমকি আসে। দু বছর ধরে বাবাকে মাদার তৃণমূল থেকে ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বাবা পুলিশে জানায়, তাও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার পর শনিবার বাবাকে খুন করা হল।’’
বস্তুত, গত কয়েক দিন ধরে অশান্ত বাসন্তীর গাগড়ামারি গ্রাম। তৃণমূল এবং নির্দলের মধ্যে অশান্তি লেগে রয়েছে সেখানে। আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। সেই সমস্ত সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে যান রাজ্যপাল। কিন্তু বাসন্তীর নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুলের পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করেননি। রাজ্যপাল বাসন্তীর চাত্রাখালি গ্রামে জিয়ারুলের মৃত্যুর স্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু সেখান থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে জিয়ারুলের বাড়িতে তিনি যাননি। পরিবারের সকলে মুখিয়ে ছিলেন রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ভেবে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের নির্দেশেই নিহত জিয়ারুল মোল্লার পরিবারের সদস্যরা ক্যানিং যান। সেখানেই রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের।
শনিবার রাতে বাসন্তীতে খুন হন এক যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। মৃতের মেয়ে মানোয়ারা পিয়াদা, এখানকার কাঠালবেরিয়ার তৃণমূলমপঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বলেন, “রাজ্যপুলিশ নয়, তাদের আস্থা রাজ্যপালের উপর। তিনি বিচার পাইয়ে দেবেন। একই সঙ্গে সিবিআই তদন্ত দাবি করেন মৃতের মেয়ে মানোয়ারা পিয়াদা। মানোয়ারা পিয়াদা অভিযোগ করেন, ভোটের টিকিট নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিবাদের জেরেই তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে। খুন করেছে মাদার তৃণমূল।
❤ Support Us






