Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

প্রশ্নে সুরক্ষা রেলের আণ্ডারপাসের কাজ করতে গিয়ে মৃত শ্রমিক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রশ্নে সুরক্ষা রেলের আণ্ডারপাসের কাজ করতে গিয়ে মৃত শ্রমিক

কেতুগ্রামের কুমোরপুরে রেলগেটের আণ্ডারপাসের কাজ করার সময় মাটিতে ধস। সেই ধ্বংস্তস্তূপে চাপা পড়ে প্রাণ গেল কর্মরত শ্রমিকের। আহত আরও ৩ শ্রমিক। জেসিবির সাহায্যে মাটি সরিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। কাটোয়া—আমোদপুর রেলপথের কেতুগ্রামের কুমোরপুর রেলগেটের কাছের ঘটনায় রেলের সুরক্ষা ও ভূমিকা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। মৃত আশুতোষ মণ্ডল (৪৭) পূর্বস্থলী ২নং ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতের পূর্ব আটপাড়ার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পূর্ব আটপাড়া গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবার। এলাকাতেও নামে শোকের ছায়া।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেল, আশুতোষ মণ্ডল প্রায় ১০ বছর ধরে রেলের ঠিকাদার সংস্থার অধীনে শ্রমিকের কাজ করেন। পাটকাঠির বেড়া ও টিনের চালা দেওয়া ঘর। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। এই কাজের উপর নির্ভর করেই সংসার চলত। বাড়িতে রয়েছে দুই সন্তান, স্ত্রী ও বয়স্ক মা। ৫ সদস্যের পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে। এই অবস্থায় ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তার পরিবার। মৃতের স্ত্রী শেফালি মণ্ডল জানান, ‘সকালে রেলের কাজের জন্য স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে আসবেন না বলেও জানান। এরপর হঠাৎ করেই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর আসে।’ শেফালি দেবীর গুরুতর অভিযোগ, ‘রেলের সুরক্ষা না থাকার কারণেই স্বামীকে অকালে হারাতে হল। এখন ছোট-ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে কীভাবে চালাব? বুঝে উঠতে পারছি না।’ সংশ্লিষ্ট পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তপনবাবুর দাবি, ‘রেলের আরও সতর্ক হয়ে কাজের তত্ত্বাবধান করা উচিত।’ রেল ঘটনাটির বিভাগীয় তদন্ত করছে বলে সূত্রের খবর।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, আন্ডারপাসের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা ‘সেফটি জোন’ থেকে প্রায় ৬০ ফুট দূরে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্যই এই বিপত্তি। সেফটি জোন থেকে দূরে আন্ডারপাস তৈরির কাজের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জুলফিকার শেখ নামে ঠিকাদার সংস্থার কর্মী বললেন, ‘ওই জায়গা দিয়ে বিদ্যুৎবাহী লাইন গিয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে বিদ্যুতের লাইন সরানোর জন্য বারবার আবেদন করা হলেও, তারা কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়েই খানিকটা দূরে কাজ করতে হয়েছিল।’ এদিকে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সূত্রের খবর, নির্ধারিত জায়গা দিয়ে বিদ্যুৎবাহী কেবল লাইন সরানোর খরচ হিসেবে রেলকে ২৮,৯৬,৫০২ টাকা জমা করতে বলা হয়েছিল জুলাই মাসে। রেল সেই টাকা জমা না করেই মাটি কাটার কাজ শুরু করেছে। মাটি কাটার সময় কয়েক জায়গায় মাটির নীচ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের কেবলও কাটা পড়েছে। তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারত। কেবল কাটার জন্য রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!