Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ১, ২০২৩

১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে ফের “দুয়ারে সরকার” শিবির শুরু হচ্ছে, চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে ফের “দুয়ারে সরকার” শিবির শুরু হচ্ছে, চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত

রাজ্যের জনপ্রিয় সরকারি কর্মসূচি “দুয়ারে সরকার” শিবির আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে। চলবে আগামী ২০২৪ এর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এক ম্যাশ এই শিবির চললেও ৩১ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বছরের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা নেওয়ার কাজ। তারপর ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের।

নবান্ন থেকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে এই বিষয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে আগামী ১৫ তারিখ থেকে পক্ষকালব্যাপী রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার শুরুর খবর জানিয়ে দেওয়া হয় জেলাশাসকদের। তারপর ২০২৪-এর ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে আবেদনকারীদের। জানা গিয়েছে, এবারের শিবিরে রাজ্য সরকার জোর দিচ্ছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পড়ে থাকা টাকা খরচের উপর। জেলাশাসকদের প্রতি মুখ্যসচিব বৈঠক থেকে নির্দেশ দিয়েছেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের যত টাকা এখনও পর্যন্ত কোষাগারে আছে, তার পূর্ণ সদ্ব্যব্যবহার করতে হবে। রাজ্যের কোনও মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে জোর দিতে জেলা প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

নবান্ন সূত্রে আরও জানা গেছে,  রাজ্য সরকারের যে সমস্ত কাজ এখনও শুরু করা যায়নি, সেগুলোর জন্য অবিলম্বে টেন্ডার ডাকাতে এদিন জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। গ্রামীণ এলাকায় শৌচাগার নির্মাণ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার পাশাপাশি থমকে থাকা কাজগুলিও চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে শেষ করতে প্রয়োজনীয় নিতেও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচির শিবির বসেছিল রাজ্যে। দুর্গাপুজোর আগে চলা এই শিবিরে মোট ৩৫টি আলাদা আলাদা সরকারি প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল চারটি নতুন পরিষেবা। এগুলি হল ‘বার্ধক্য ভাতা’, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণ’, ‘উদ্যম পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণ’ এবং ‘হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের নাম তালিকাভুক্তিকরণ’। সপ্তম পর্যায়ের এই শিবিরের জন্য ১৭টি পৃথক নোডাল বিভাগ গঠন করা হয়েছিল। গোটা বিষয়টির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ৪১ সিনিয়র আইএএস অফিসার। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর সঙ্গে শাসক দল এই দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে বলেই মনে করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!