Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ২২, ২০২২

লিঙ্গ অনুপাতে নেই ভারসাম্য।পাত্রী খুঁজতে স্মারকলিপি নিয়ে আইবুড়োদের ধর্ণা মহারাষ্ট্রে

লিঙ্গ অনুপাতে নেই ভারসাম্য।পাত্রী খুঁজতে স্মারকলিপি নিয়ে আইবুড়োদের ধর্ণা মহারাষ্ট্রে

পাত্রী খুঁজে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি!‌ তাও আবার মিছিল করে স্মারকলিপি জমা দিয়ে!‌ হ্যাঁ, বিয়ে পাগল পাত্রদের এমনই অভিনব মিছিলের সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রের সোলাপুর। যুবকদের দাবি, উপযুক্ত পাত্রীর অভাবে তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না। আর এই সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে প্রশাসনকেই।

‘‌বর বর মোর্চা’‌ নামে একটা সংগঠন এই মিছিলের আয়োজন করেছিল। যুবকরা বরের সাজে ঘোড়ায় চেপে কনে খুঁজে দাওয়ার দাবিতে মিছিল করে কালেক্টরের অফিসে যান। অনেকের হাতেই ছিল নানারকম প্ল্যাকার্ড। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‌বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যোগ্য পাত্রীর অভাবে বিয়ে হচ্ছে না। এই ব্যাপারে প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রশাসনকেই উপযুক্ত কনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’‌

কেন এই অভিনব মিছিল?‌ আসলে এর পেছনে অন্য কারণ আছে। শুধু বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে দেওয়ার জন্য নয়, এই অভিনব মিছিলের পেছনে রয়েছে ভ্রূণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও। আইন থাকলেও ভ্রূণহত্যা বন্ধ করা যায়নি। ফলে মহারাষ্ট্রে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের আনুপাতিক হার কমে যাচ্ছে। বিয়ের জন্য পাত্রীর আকাল দেখা দিচ্ছে। পুরুষ–মহিলা অনুপাতের উন্নতির জন্য প্রি–কনসেপশন এবং প্রি–ন্যাটাল ডায়াগনস্টিক টেকনিকস আইনের কঠোর প্রয়োগের জন্য জেলা কালেক্টরের অফিসে একটা স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে। স্মারকলিপিতে রাজ্য সরকারকে মিছিলে অংশ নেওয়া যুবকদের জন্য কনের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।

জ্যোতি ক্রান্তি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা, রমেশ বারস্কর, যিনি এই মিছিলের আয়োজন করেছিলেন, তিনি বলেন, ‘‌লোকেরা এই মোর্চাকে উপহাস করতে পারে, কিন্তু বাস্তব হল যে রাজ্যে পুরুষ–মহিলা অনুপাত বিকৃত হওয়ার কারণে বিবাহযোগ্য বয়সের যুবকরা পাত্রী পাচ্ছে না।’‌ তিনি আরও বলেন, ‘‌মেয়ে ভ্রুণহত্যার কারণে এই বৈষম্য। আর সরকার এই বৈষম্যের জন্য দায়ী।’‌ মহারাষ্ট্রের লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১ হাজার ছেলের সঙ্গে ৮৮৯ জন মেয়ে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!