Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ডিসেম্বর ১৪, ২০২২

স্বপ্নপূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
স্বপ্নপূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা

৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি আর্জেন্টিনার সামনে। কিংবদন্তী দিয়োগো মারাদোনার কৃতিত্ব স্পর্শ করার সুযোগ লিওনেল মেসির। ক্রোয়েশিয়াকে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা। স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে গেল আরও একধাপ। জুলিয়ান আলভারেজ জোড়া গোল করলেও ম্যাচের নায়ক মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ভেঙে দিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড। শুধু নিজেই গোল করেননি মেসি, আলভারেজের দুটি গোলের পেছনেও তাঁর অবদান।
এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল ক্রোয়েশিয়ার। বলের দখলও তাদের বেশি ছিল। সেই সময় মেসিকে খুব বেশি চোখে পড়ছিল না। ক্রোয়েশিয়া কোচ ডালিচ জানতেন, মেসিকে আটকাতে পারলেই সমস্যায় পড়বে আর্জেন্টিনা। তাই ২–৩ জন ফুটবলারকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন। বল ধরলেই তাঁরা মেসিকে ঘিরে ধরছিলেন। ফলে একেবারেই জায়গা পাচ্ছিলেন না। তার মধ্যেই জ্বলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। ২৫ মিনিটে গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট আর্জেন্টিনার। এঞ্জো ফার্নান্ডেজের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান লিভাকোভিচ।
অবশেষে ৩২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বল ধরে বক্সে ঢুকে যান জুলিয়ান আলভারেজ। সামনে শুধু লিভাকোভিচ। বল গোলে পাঠানোর মুহূর্তে আলভারেজকে ফাউল করেন ক্রোয়েশিয়া গোলকিপার। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে কিলিয়ান এমবাপেকে ধরে ফেলেন মেসি। একই বিশ্বকাপে ১১ গোল করে টপকে যান স্বদেশীয় গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে।
৩৯ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের গোলে ব্যবধান বাড়ায় আর্জেন্টিনা। মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে নিজেদের মাঝমাঠ থেকে একক প্রয়াসে এগিয়ে যান আলভারেজ। ৩ জন ডিফেন্ডারকে অতিক্রম করে লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান। ৪২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ত আর্জেন্টিনার। কর্ণার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেছিলেন ম্যাক অ্যালিয়েস্টার। গোল লাইন থেকে সেভ করেন লিভাকোভিচ। প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে বলার মতো একটাই সুযোগ। মডরিচের শট ওটামেন্ডির মাথায় লেগে ডানদিকে জুরানোভিচের কাছে যায়। তাঁর শট গোলে ঢোকার মুখে ঝাঁপিয়ে বাঁচান আর্জেন্টিনা গোলকিপার মার্টিনেজ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ওরিসিচ, ভ্লাসিচ, পেটকোভিচকে নামিয়ে আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেন ক্রোয়েশিয়া কোচ ডালিচ। মডরিচরা আক্রমণ তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। ওটামেন্ডি, রোমেরোরা সজাগ থাকায় বিপদ ঘটেনি। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ৫৮ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। ২ গোলে এগিয়ে থাকায় আর্জেন্টিনা কোচ স্ক্যালোনি খুব বেশি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে চাননি। রক্ষণ মজবুত করে প্রতি আক্রমণের যাওয়ার কৌশল নিয়েছিলেন। তৃতীয় গোল সেই প্রতি আক্রমণের ফসল। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ডানদিক থেকে একক প্রয়াসে বক্সে ঢুকে গার্ডিওলকে পরাস্ত করে মাইনাস করেন ‘‌ম্যাজিক্যাল মেসি’‌। ৬ গজের বক্সের মধ্যে থেকে হালকা পুশে ৩–০ করেন জুলিয়ান আলভারেজ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!