- এই মুহূর্তে স | হ | জ | পা | ঠ
- এপ্রিল ১৯, ২০২৪
গুজরাটে পাওয়া জীবাশ্ম এখনও পর্যন্ত বেঁচে থাকা বৃহত্তম সাপের

গুজরাটে আবিষ্কৃত জীবাশ্ম কশেরুকাটি এখনও পর্যন্ত বেঁচে থাকা বৃহত্তম সাপের অংশবিশেষ, যা টি–রেক্সের চেয়ে দীর্ঘ। ‘স্প্রিংগার নেচার’ বিষয়ক ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’–এ এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। ২০০৫ সালে ‘বাসুকি ইন্ডিকাস’ আবিষ্কার করেছিলেন আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা। তাঁরা সম্প্রতি এটি বিশালাকার সাপ হিসাবে নিশ্চিত করেছেন।
এই সাপটি বিভিন্ন প্রজাতির। বিশেষ করে সরীসৃপের উৎপত্তি এবং বিবর্তন প্রক্রিয়ায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করে। গবেষকরা সাপ থেকে ২৭ টি কশেরুকা আবিষ্কার করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে সাপটি দেখতে বড় অজগরের মতো এবং বিষাক্ত নয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান, সাপটির দৈর্ঘ্য ১১–১৫ মিটার (প্রায় ৫০ ফুট) এবং ওজন অবশ্যই ১ টনের বেশি। বৃহস্পতিবার ‘স্প্রিংগার নেচার’ বিষয়ক ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
আইআইটি–রুরকির প্যালিওন্টোলজির গবেষক এবং গবেষণার প্রধান লেখক দেবজিৎ দত্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এর বড় আকার বিবেচনা করে, বাসুকি ছিল একটি ধীর গতির অ্যামবুশ শিকারী। যা অ্যানাকোন্ডা এবং অজগরের মতো সংকোচনের মাধ্যমে তার শিকারকে বশীভূত করত। এই সাপটি এমন সময়ে উপকূলের কাছে একটি জলাভূমিতে বাস করত যখন বৈশ্বিক তাপমাত্রা এখনকার তুলনায় বেশি ছিল।’ জীবাশ্মটির নামকরণ করা হয়েছে ভগবান শিবের সাথে যুক্ত সাপের রাজা বাসুকির নামে জীবাশ্মটির নামকরণ করা হয়েছে।
একই আকারের টাইটানোবোয়া একসময় প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর আগে কলম্বিয়াতে বাস করত। তার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৪৩ ফুট এবং ওজন এক টনেরও বেশি। রুরকির অধ্যাপক এবং গবেষণার সহ–লেখক জীবাশ্মবিদ সুনীল বাজপাই বলেছেন, ‘বাসুকির আনুমানিক দৈর্ঘ্য টাইটানোবোয়ার সাথে তুলনীয়। যদিও টাইটানোবোয়ার কশেরুকাগুলি বাসুকির তুলনায় কিছুটা বড়। তবে এই মুহুর্তে আমরা বলতে পারি না যে বাসুকি টাইটানোবোয়ার তুলনায় বেশি বৃহদায়তন বা সরু ছিল কিনা।’ এখনকার বৃহত্তম জীবন্ত সাপ হল এশিয়ার উচ্চতার জালিকাযুক্ত অজগর।
❤ Support Us