- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ১৬, ২০২৩
সামির রেকর্ডের বন্যায় ম্লান কোহলির শতকের হাফ সেঞ্চুরি
বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঞ্চটা তৈরি ছিল বিরাট কোহলির জন্য। কিংবদন্তী শচীন তেন্ডুলকারের একদিনের ক্রিকেটের সেঞ্চুরি রেকর্ড ভেঙে দিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির শতকের অর্ধশতকে। কিন্তু তাঁর সেই কৃতিত্ব যেন ম্লান হয়ে গেল মহম্মদ সামির কাছে। দুরন্ত বোলিং করে অনন্য নজির গড়েছেন ভারতীয় দলের এই জোরে বোলার। ভারতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে সেরা বোলিং করে ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন। শুধু সেরা বোলিংই নয়, বেশ কয়েকটা রেকর্ড গনেছেন মহম্মদ সামি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৫৭ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন মহম্মদ সামি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতীয়দের মধ্যে এটাই সেরা বোলিং। এতদিন বিশ্বকাপে ভারতীয়দের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের নজির ছিল আশিস নেহরার। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সামি সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন।
এছাড়া বিশ্বকাপে দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ারও রেকর্ড করেছেন সামি। মাত্র ১৭ ম্যাচে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেটের মাইলস্টোনে তিনি পৌঁছে গেলেন। আগে এই রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের দখলে। ১৯ ম্যাচে তিনি পঞ্চাশ উইকেটে পৌঁছেছিলেন। আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন লসিথ মালিঙ্গা। ২৫ ম্যাচে তিনি ৫০ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়া জাহির খানের এক বিশ্বকাপে ২১ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও ভেঙ্গে দিয়েছেন মহম্মদ সামি।
বিশ্বকাপে সেরা বোলিংয়ের তালিকায় অবশ্য পাঁচ নম্বরে রয়েছেন সামি। সেরা বোলিং গ্লেন ম্যাকগ্রাথের। ২০০৩ সালে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ওই বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যান্ডি বিচেল ২০ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ৩৩ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। আর ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোরে বোলার উইনস্টন ডেভিস ৫১ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। তবে বিশ্বকাপের নক আউট ম্যাচে সেরা বোলিং অবশ্য সামিরই দখলে। এর আগে সেরা বোলিং ছিল অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার গ্যারি গিলমারের। ১৯৭৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।
একদিনের ক্রিকেটে সামির ৫৭ রানে ৭ উইকেট ভারতীয়দের মধ্যে সেরা স্পেল। এর আগে সেরা বোলিং ছিল স্টুয়ার্ট বিনির। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অনিল কুম্বলে। ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর রয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। আর এবছর এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২১ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ।
❤ Support Us