- দে । শ
- মে ৬, ২০২৪
তৃতীয় দফার নির্বাচনে সেতু ঘিরে রাজনৈতিক ‘দঙ্গল’ অসমে

৭মে দেশে তৃতীয় দফা লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চরমে উঠেছে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। লড়াই লেগেছে ভারতের সবচেয়ে বৃহত্তম অসামের ধুবড়ি ও মেঘালয়ের ফুলওয়ারি সংযুক্তি নদী সেতু নিয়ে। যার নির্মাণের আসাম ও মেঘালয়ের ব্যবসা বাণিজ্য, যাতায়াত ব্যবস্থা — সবেরই উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০ কিলোমিটার লম্বা এই সেতুটির সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষ হবে ২০২৭ সালে।নির্মীয়মান এই সেতুই এখন রাজনীতির তরজার কেন্দ্রবিন্দুতে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছে, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এ আই ইউ ডি এফ, অসম গণপরিষদ বা অগপ এবং কংগ্রেস। প্রসঙ্গত , ২০২১ সালে সেতুর শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্থানীয়দের মতে , সেতুর নির্মাণ হলে প্রতিদিনের যাতায়াত অনেকটাই সহজ হয়ে যায় তাঁদের কাছে। বিশাল চওড়া ব্রহ্মপুত্রে নৌকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা। এর ওপর বর্ষাকাল তো আছেই। বর্ষায় নদী পারাপার রীতিমতো ঝুঁকিসাপেক্ষ। এই সেতু প্রায় ২০০ কিলোমিটার যাত্রাপথ কম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ব্রিজ তৈরি হলে মেঘালয় যাতায়াতে অনেক কম সময় তো লাগবেই। পাশাপাশি জিনিসপত্র আমদানি রপ্তানির খরচ ও বহনের ঝুঁকি , যা এতদিন ব্রহ্মপুত্রের বুকেই হত, সেটাও কমে যাবে।
এই সেতু এখন নির্বাচনের মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ধুবড়িতে তথা আসামের লোকসভা পদপ্রার্থী নির্বাচনে। অসম গণপরিষদ, যারা এন ডি এ জোটের শরিক, তাঁদের মুখপাত্র জাভেদ ইসলাম বলেছেন, এই ব্রিজ তৈরির প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিল এনডিএ। প্রধানমন্ত্রীর শিলান্যাসের পরে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে নির্মাণকার্য চলছে। আসাম রাজ্যের বাসিন্দাদের এটা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি উপহার।’
অপর দিকে, এ আই ইউ ডি এফের মুখপাত্র তথা ধুবড়ির তিনবারের সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল বলছেন,’ কংগ্রেসের সরকার থাকাকালীন সংসদে আমিই প্রথম দাবি তুলেছিলাম এই ব্রিজের জন্য। পরে বিজেপি সরকারের সময়ে এই আবেদন গ্রাহ্য করা হয়।’ এই প্রবল দড়ি টানাটানির সময়ে কংগ্রেসও চুপ নেই। তাঁরাও কৃতিত্বের দাবি ছিনিয়ে নিতে আসরে নেমে পড়েছে।কিন্তু এই কৃতিত্বের দাবির লড়াইয়ের থেকেও স্থানীয়দের কাছে ব্রিজটি তৈরি হওয়া বেশি দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা। আগামীকাল আসামে তৃতীয় দফার ভোট। তার আগে জমে উঠেছে ‘নদী আরপাহাড়ের দেশ’- এর রাজনীতি।’
❤ Support Us