Advertisement
  • দে । শ স | হ | জ | পা | ঠ
  • ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫

৩৫০ কিমি পথ অতিক্রম মাত্র ৩০ মিনিটে । প্রস্তুত দেশের প্রথম পরীক্ষামূলক হাইপারলুপ ট্র্যাক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
৩৫০ কিমি পথ অতিক্রম মাত্র ৩০ মিনিটে । প্রস্তুত দেশের প্রথম পরীক্ষামূলক হাইপারলুপ ট্র্যাক

ভারতের পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটতে চলেছে। কল্পনা করুন মাত্র ৩০ মিনিটে দিল্লি থেকে জয়পুর পৌঁছে যাচ্ছে যাত্রীরা। বিমানেও যা সম্ভব নয়, সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছে রেলের নতুন প্রযুক্তিভাবনা। হাইপারলুপ’ হল বিপুল দূরত্ব কম সময়ে অতিক্রম করার একটি উচ্চ-গতির পরিবহন ব্যবস্থা। আইআইটি মাদ্রাজ, রেল মন্ত্রক যৌথ প্রচেষ্টায় ভারতের প্রথমবারের জন্য হাইপারলুপ ট্রেন চালু হতে চলেছে।  ৪২২ মিটারের পরীক্ষামূলক ট্র্যাক তৈরি  করা হয়েছে, যাতে ৩০ মিনিটে ৩৫০ কিমি পথ যাওয়া সম্ভব। ঘণ্টায় ১১০০ কিমি গদিতে ছুটবে ট্রেন। যা বুলেট ট্রেনের গতিবেগের থেকেও অনেক বেশি। যুগান্তকারী প্রকল্পটির লক্ষ্য ভ্যাকুয়াম টিউব প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চ-গতির ট্রানজিটে প্রযুক্তি বিপ্লব ঘটানো।

এই ট্রেন চালুর ব্যাপারে মঙ্গলবার রেলমন্ত্রকের শীর্ষ স্তরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে‘হাইপারলুপ-ওয়ান’ সংস্থা। অসম্ভব দ্রুত গতির ট্রেন চালাতে ওই বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে রেল মন্ত্রক। কী ভাবে তা সম্ভব, তা হাতেনাতে দেখিয়েছেনও বেসরকারী সংস্থার কর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু একটি বিশেষ টিউবের মধ্য দিয়ে ট্রেনটি ছুটবে, সেখানে বাতাসের কোনো চাপ থাকবে না। ফলে প্রচণ্ড গতিতে ট্রেনটির ছোটবার ক্ষেত্রে ভৌত নিয়মে চাপ ও গতিবেগের সমীকরণ বদলে যাবে। সাধারণ ট্রেনের মতো একাধিক কামরা থাকবে না, বরং একটিমাত্র কামরা নিয়ে ছুটে যাবে ।  এই প্রযুক্তিতে চৌম্বক শক্তির প্রভাবে কামরাটি লাইন থেকে খানিকটা উপরে উঠে যায়, মূলত ইলেকট্রিকের ব্যবহারের ট্রেন চলবে।  ভারতীয় রেল মন্ত্রকের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি আইআইটি মাদ্রাজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী দ্রুত এই পরিষেবা চালু করতে বদ্ধ পরিকর।

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ‘হাইপারলুপ’ লাইনের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এই প্রকল্প পরিবহণ ও গতির দুনিয়ার যুগন্তকারী বিপ্লব আনতে চলেছে। আইআইটি মাদ্রাজের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে। এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১১০০ কিলোমিটার। যা বুলেট ট্রেনের গতিবেগের থেকে অনেকটাই বেশি।

হাইপারলুপ, যাকে ‘পরিবহনের পঞ্চম অবস্থা’ বলা হয়, এমন একটি উচ্চগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা যা বিপুল দূরত্ব খুব অল্প সময়ে অতিক্রম করতে পার। উন্নত প্রযুক্তি,  ভ্যাকুয়াম টিউবে , ন্যূনতম ঘর্ষণ বায়ুচাপহীন পথে দ্রুত ছুটে চলা — এইভাবেই কল্পনার পাখি ছুটে চলবে বাস্তবের মাটিতে। পরীক্ষামূলক ফলাফলে উচ্ছ্বসিত, রেলমন্ত্রী  বলেন, ‘৪২২ মিটারের প্রথম এই রেলপথ প্রযুক্তির উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সময় এসেছে, ভবিস্যত নির্মাণের। প্রথমদফায় আইআইটি মাদ্রাজকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবার পর, প্রকল্পের উন্নতির জন্য আরো অনুদান দেওয়া হবে।’ ভারতে হাইপারলুপ প্রযুক্তির ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী শক্তির প্রশংসা করেছেন। আইআইটির ‘হাইপারলুপ’ টিমের লক্ষ্য হল দক্ষ, সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য আর টেকসই উচ্চ-গতির পরিবহণ গড়ে তোলা।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!