- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মে ৯, ২০২৪
হেড–অভিষেকের তান্ডবে প্লে–অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেল লখনই

ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা ছন্দে থাকলে বিপক্ষ বোলারদের কী ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে, তার সাক্ষী থাকল হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার যেভাবে ঝড় তুলেছিলেন, লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। হেড–অভিষেকদের এক–একটা শট আছড়ে পড়ছিল গ্যালারিতে। আর অবিশ্বাসের ভঙ্গীতে মাথা নাড়ছিলেন রাহুল। লখনউ–র তোলা ১৬৫ রান টপকাতে হেড–অভিষেকের লেগেছিল মাত্র ৯.৪ ওভার।
প্লে–অফের আশা বাঁচিয়ে রাখের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লখনউ অধিনায় লোকেশ রাহুল। ভুবনেশ্বর কুমারের দুরন্ত বোলিংয়ে লখনউ–র রান তোলার কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ৬৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় লখনই। শুরুতেই কুইন্টন ডিকক (২) ও মার্কাস স্টয়নিসকে (৩) তুলে নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন ভুবি। লোকেশ রাহুলকে (৩৩ বলে ২৯) ফেরান প্যাট কামিন্স। ২১ বলে ২৪ করে রান আউট হন ক্রুনাল পন্ডিয়া। শেষদিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে লখনউকে ১৬৫/৪ রানে পৌঁছে দেন নিকোলাস পুরান (২৬ বলে অপরাজিত ৪৮) ও আয়ুশ বাদোনি (৩০ বলে অপরাজিত ৫৫)।
আগের দুটি ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়তে হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। এদিন সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা কোনও সুযোগই দেননি লখনউ বোলারদের। দুই ওপেনারের তান্ডবে মাত্র ৯.৪ ওভারে ১৬৭ তুলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। ৩০ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হেড। মারেন ৮টি ৪ ও ৮টি ৬। অন্যদিকে, ২৮ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অভিষেক। মারেন ৮টি ৪ ও ৬টি ৬।
১০০–র বেশি রানের লক্ষ্যে ৬২ বল হাতে রেখে হায়দরাবাদের এই জয় পাওয়াটা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড। ভেঙে দিয়েছে ২০২২ সালে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে দিল্লির ৫৭ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের রেকর্ড। মাত্র ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৬৭ রান আইপিএলে প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ। নিজেদের রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছে হায়দরাবাদ। এবছর দিল্লির বিরুদ্ধে তুলেছিল ১৫৮/৪।
লখনউকে উড়িয়েও অবশ্য এখনও প্লে–অফ নিশ্চিত হল না হায়দরাবাদের। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে–অফের স্বপ্ন শেষ লখনউ–র। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২।
❤ Support Us