Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

আশঙ্কা যানজটে আজ হাঁপিয়ে উঠবে কলকাতা। নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে আইএসএফ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আশঙ্কা  যানজটে আজ হাঁপিয়ে উঠবে কলকাতা। নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে আইএসএফ।

আইএসএফ আজ কলকাতায় তাঁদের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও অন্যান্য নেতাদের গ্রফতারের প্রতিবাদে , দুপুর একটা থেকে মিছিল করবে। মিছিলের শুরু শিয়ালদহ থেকে। শেষ হবে ধর্মতলায়। অনুমান, আকারে খুব বড়ো নয়। কিন্তু উগ্রমূর্তি ধারণ করতে পারে সেক্যুলার ফ্রণ্ট। পুলিশ শিয়ালদহ, এসএন ব্যানার্জী রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। উস্কানি ও অপ্রীতিকর ঘটনা র‍্যখতে কয়েকটি রাস্তা বন্ধ রাখা হতে পারে। রবীন্দ্র সদন, পাইকপাড়া, সন্তোষপুর, কৈখালি, তপসিয়া, বাগবাজার, খিদিরপুর, পিকনিক গার্ডেন সহ বহু রাস্তার মিনি ও বাস চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
গত শনিবার প্রতিবাদ মিছিল সেরে কলকাতা থেকে ভাঙড় হয়ে ফুরফুরা শরিফের যাওয়ার পথে অশান্তি তৈরি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নওশাদ সিদ্দিকী ও তাঁর অনুগামীদের। নওশাদ লড়াকু বিধায়ক আর প্রবল রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় তাঁর দলের অতি সক্রিয় হয়ে ওঠার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু কতটা সুবিধা আদায় অর্জন করবে, ভাবনার বিষয়। ভোট কাটাকাটির অঙ্কের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের জয়-পরাজয়কে প্রভাবিত করতে পারে। সিপিএম, বিজেপি সেক্যুলার ফ্রণ্টের উত্থানে খুশি। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও বামপন্থীদের সহযোগী ছিল নওশাদ-এর দল। একমাত্র ভাঙড় ছাড়া অন্য কোথাও আসন মেলেনি। প্রাপ্তির শতকরা হারও নগণ্য বরং তাঁদের সঙ্গে জোট বেঁধে ঘরোয়া প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে বাম-কং নেতৃত্বকে। প্রাথমিক বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা অতিক্রম করে নতুন করে দাঁড়াতে চাইছে সেক্যুলার ফ্রণ্ট। তাঁদের নেপথ্য প্রধান ‘ভাইজান’ এখন চর্চার বাইরে। ফুরফুরার আরেক নেতা সিদ্দিকীর রাজনীতি লোকচক্ষুর আড়ালে। ফুরফুরার আরেক নেতা ত্বহা সিদ্দিকী রাজনীতি লোকচক্ষুর আড়ালে। ফুরফুরা শরিফকে ঘিরে তাঁর তৃণমূল মুখী উদয় ঘটেছিল। বাম আমলে পাত্তা পান নি। ফুরফুরার সুফি ঘরানার রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাতো না। কিন্তু কেউ কেউ জাতীয় সংকটের মুহূর্তে কোনো কোনো বাম নেতার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ফুরফুরার সাম্প্রদায়িকতাহীন রাজনীতিহীন রেওয়াজ বহুদিন অক্ষত ছিল। এখানকার আদি সুফি আবু বকর সিদ্দিকী ছিলেন সর্বার্থে সমাজ সচেতন বাঙালি গান্ধীজির অনুগামী স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষায় বিদ্যাচর্চা জরুরি, এটা ছিল তাঁর ভাবাদর্শের অন্যতম অভিমুখ। ফুরফুরার প্রভাব ছিল ব্যাপক- আসাম, বাংলা আর ওড়িশায়। দুই বঙ্গে এখনও সুফি ঘরানা প্রবল চিত্তজয়ী। এরকম এক শরিফ পরিবারের উত্তরপুরুষরা কি আজ দ্বিধাগ্রস্থ? ভাঙচুর আর রাজনৈতিক তরজার অংশীদার? পির আব্বাস সিদ্দিকী ও নওশাদ সিদ্দিকী ভাই ভালো বলতে পারবেন। তাঁদের লক্ষ্য কী?বৈষম্যমূলক রাজনীতির মোকাবিলা না, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধিতার নাম করে সাম্প্রদায়িক প্ররোচনামূলক ইন্ধন যুগিয়ে যাওয়া?


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!