- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
২টি লাল কার্ড বেঙ্গালুরুর, বোমাসের গোলে জয় তুলে নিল মোহনবাগান

প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব এফসি–র বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিল জুয়ান ফেরান্দোর দল। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বেঙ্গালুরু এফসি–কে হারাল ১–০ ব্যবধানে। মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন হুগো বোমাস।
সাধারনত উইনিং কম্বিশেশন ভাঙেন না জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু কার্ড সমস্যা মিটে যাওয়ায় এদিন প্রথম একাদশে রাখেন অনিরুদ্ধ থাপাকে। অনিরুদ্ধকে দলে রাখার সুফলও পেয়েছেন ফেরান্দো। ১২ মিনিটে গোললাইন থেকে অনিরুদ্ধ বল না বাঁচালে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ত মোহনবাগান। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে উইংয়ে মনবীর ও লিস্টনকে রেখেছিলেন ফেরান্দো। পেত্রাতোস ও কামিন্সকে রেখেছিলেন সামনে। হুগো বোমাসকে অ্যাটাকিং রোমিং মিডফিল্ডারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে মোহনবাগান গোলমুখ খুলতে পারেনি। কারণ রক্ষণের খোলসে মুড়ে ছিল বেঙ্গালুরু এফসি। মোহনবাগানের শক্তির কথা ভেবে বেঙ্গালুরু কোচ সাইমন গ্রেসন শুরু থেকেই রক্ষণের দিকে বেশি জোর দিয়েছিলেন। বেছে নিয়েছিলেন প্রতি আক্রমণের রাস্তা। তার মধ্যেই ১৫ মিনিটের মধ্যে দু’দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বেঙ্গালুরু। ম্যাচের ১১ মিনিটে রোশনের গড়ানো শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। এরপর রোশনের কর্নার থেকে আলেকজান্ডারের হেড রোহিতের কাছে যায়। তাঁর শট গোললাইন থেকে বাঁচান অনিরুদ্ধ থাপা। প্রথমার্ধের শেষদিকে কামিংস মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কাজে লাগাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান আক্রমণের তেজ বাড়ায়। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিল না। অবশেষে ৬৩ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন হুগো বোমাস। মনবীরের সেন্টার বক্সের মাথায় পান কামিন্স। তিনি বাঁদিকে দাঁড়ানো বোমাসকে মাপা পাস বাড়ান। জোরালো শটে বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে জালে পাঠান বোমাস। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বেঙ্গালুরুর সুরেশ। ১০ জন হয়ে যাওয়ায় আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না বেঙ্গালুরুর। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে বক্সের বাইরে পেত্রাতোসকে টেনে ফেলে দিয়ে লাল কার্ড দেখেন রোশন সিং।
❤ Support Us