Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে আবার লিগ টেবিলের শীর্ষে মোহনবাগান

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে আবার লিগ টেবিলের শীর্ষে মোহনবাগান

ডুরান্ড কাপ ফাইনালে নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হারতে হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে। আইএসএলে মধুর প্রতিশোধ। তাদের ঘরের মাঠে গিয়ে নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল মোহনবাগান। আগের দিনই কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। ২৪ ঘন্টার বেশি শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারল না তারা।
শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতিআক্রমণে ম্যাচ দারুণ জমে উঠেছিল। ১০ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে মোহনবাগানের সামনে। বাঁদিক থেকে একক প্রয়াসে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সে ঢুকে ডানপায়ে জোরালো শট করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পিছিয়ে ছিল না নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডও। ১৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে শট নিয়েছিলেন আলাদিন আজারাই। বল গোলে ঠোকার মুহূর্তে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কোনও রকমে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। পরের মিনিটেই আবার মোহনবাগানের সামনে সুযোগ। বাঁদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে ডানপায়ে ফ্লিক করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। বল সরাসরি চলে যায় নর্থ–ইস্ট গোলকিপার গুরমিত সিংয়ের হাতে।
প্রথমার্ধের শেষদিকে মোহনবাগানের আক্রমণের চাপ বেশি ছিল। ৪১ মিনিটে আবার দুর্দান্ত আক্রমণ তুলে নিয়ে এসেছিল নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড। কোনও রকমে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান টম আলড্রেড। ৪৫ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের ডানপায়ের জোরালো শট বাঁদিকে উড়ে গিয়ে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান গুরমিত। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে টম আলড্রেডের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধে ম্যাচের পল থাকে গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুর থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড। বারবার আক্রমম তুলে নিয়ে এসেও তিনকাঠি ভেদ করতে পারছিলেন না আলাদিনরা। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের অর্ধে আশিস রাইয়ের কাছ থেকে ডানদিকে টাচলাইনের কাছাকাছি বল পেয়ে ভেতরের দিকে ঢুকে যান মনবীর সিং। বক্সের বাইরে থেকে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লিস্টন কোলাসো। এই গোলেরও কারিগর আশিস রাই। মাঝমাঠ থেকে তাঁর পাঠানো বল বাঁপ্রান্তে ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন লিস্টন।
শেষদিকে গোল সংখ্যা বাড়াতে দিমিত্রি পেত্রাসোসকে তুলে জেমন কামিংসকে নামান মোলিনা। পরে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে। তাতেও গোলসংখ্যা বাড়েনি। মাঝমাঠে দুরন্ত খেলে ও দুটি গোলের রাস্তা তৈরি করে ম্যাচের সেরা আশিস রাই। নর্থ–ইস্টকে হারিয়ে ১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আবার লিগ টেবিলের শীর্ষে মোহনবাগান।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!